জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,আউশগ্রাম,১২ জানুয়ারী :তৃণমূলের পক্ষ থেকে গত ২ জানুয়ারি নজরুল মঞ্চের দলীয় বৈঠক থেকে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ ও ‘দিদির দূত’ নামে দু’টি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ঐ বৈঠকেই ঠিক হয় ১১ ই জানুয়ারি থেকে একই সময়ে সমগ্র রাজ্যজুড়ে কর্মসূচি শুরু হবে। সেদিনই রাজ্যের পক্ষ থেকে কর্মসূচির একটা রূপরেখা তৈরিও করে দেওয়া হয়।কর্মসূচি সফল করার জন্য সেই রূপরেখা মেনে বিধায়করা নিজ নিজ এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু করে দেয় প্রচার। ব্যাতিক্রম নিয় আউশগ্রামও । কর্মসূচি সফল করার জন্য ও সর্বোচ্চ মানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে এবং তৈরি করে দেওয়া সূচি মেনে আউশগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে প্রচারে নেমে পড়েন নিজ বিধানসভা এলাকার আউসগ্রাম অঞ্চলে । তাঁর বুকে আঁটা ছিল ‘দিদির দূত’ ব্যাচ।
কর্মসূচি শুরু করেন বননবগ্রামের জনপ্রিয় হরিমন্দির থেকে। সেখানে প্রার্থনা করার পরে তিনি যান ওয়ারিশপুর মসজিদে ও শিবমন্দিরে। এরপর তিনি বননবগ্রাম ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিভিন্ন ওয়ার্ডের রুগীদের কুশল জিজ্ঞাসা করেন এবং প্রত্যেকের হাতে তুলে দেন সামান্য কিছু ফলমূল। এমনকি হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন এবং সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেন। যদিও ইতিমধ্যেই তিনি সবার স্বার্থে হাসপাতালের অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করে এলাকাবাসীর প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছেন। যেটুকু বাকি আছে সেটাও দ্রুত শেষ করার জন্য তিনি সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ।
কর্মসূচি পালনের সময় বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁকে কথা বলতেও দেখা যায়। সেই সময় দু’জন দুঃস্থ মানুষের হাতে তিনি শীতের চাদর তুলে দেন।
কর্মসূচি পালনের সময় বিধায়কের সঙ্গে ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সেখ সালেক রহমান, আউসগ্রাম ১নং ব্লক সভাপতি অরূপ সরকার,তৃণমূল নেতা শেখ লালন সহ দলের স্থানীয় নেতৃত্ব ও তৃণমূল কর্মীরা । বিধায়ক বলেন, ‘মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে বিধায়ক নির্বাচন করেছেন তাদের সেবা করার জন্য। ‘দিদির’ আদর্শ মেনে সারা বছর ধরে দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। দিদির চালু করা সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা যাতে মানুষ পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখার চেষ্টা করি। এখন এসেছি নির্দিষ্ট দলীয় কর্মসূচি পালন করতে। আশাকরি যেটুকু ত্রুটিবিচ্যুতি আছে সকল মানুষের সঙ্গে কথা বলে সেগুলো তাড়াতাড়ি দূর করব ।’।