এইদিন ওয়েবডেস্ক,০১ অক্টোবর : ভারতের কিছু রাজনৈতিক দলের ‘পাকিস্তান প্রেম’ নতুন ঘটনা নয় । ভারতের নাম্বার ওয়ান শত্রু রাষ্ট্রের প্রতি সহানুভূতিশীল মানসিকতার জন্য এনিয়ে বিতর্কও হয় মাঝে মাঝে । কিন্তু প্রতি মুহুর্তে ভারতকে অস্থির করে তোলার চেষ্টায় থাকা পাকিস্তানের প্রতি প্রেমের ট্রাডিশন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, জহরলাল নেহেরু থেকে শুরু করে বর্তমান প্রজন্মের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর জমানাতেও সমানে চলছে । প্রায়শই তাদের গলাতে পাকিস্তান প্রেমের ভাষা শুনতে পাওয়া । কংগ্রেসের বৃদ্ধ নেতা মনিশঙ্কর আইয়ার তো নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতা থেকে সরাতে সরাসরি পাকিস্তানের সাহায্যই চেয়ে বসেন । এর বাইরেও মুসলিম ভোটব্যাংক সুরক্ষিত রাখতে খোলামেলা তোষামোদের পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতিশীল মানসিকতা লক্ষ্য করা যায় বিজেপি বিরোধী অকংগ্রেসী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে । কারন বাংলাদেশের মতই ভারতের মুসলিমদের বৃহৎ সংখ্যক মানুষ আজও পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতিশীল মানসিকতা রেখে চলেন । আর তাদের ভোট নিশ্চিত করতে পাকিস্তানের ভজনা করতে শোনা যায় কিছু রাজনৈতিক দলের নেতাদের মুখে ।
এবারে খোদ পাকিস্থানের টিভি চ্যানেলের বিতর্কে পাকিস্তানপ্রেমী ভারতের রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের নাম বলে দিলেন জনৈক প্যানেলিস্ট । পাকিস্তানের জিও নিউজ উর্দু চ্যানেলের একটা বিতর্ক অনুষ্ঠানের একটা ভিডিও ক্লিপিং ভাইরাল হয়েছে । বিতর্কের বিষয়বস্তু হল ‘জম্মু কাশ্মীরের স্বাধীনতা’ । টিভি চ্যানেলের উপস্থাপক প্রশ্ন, তোলেন,’কাশ্মীরের স্বাধীনতা এবং কাশ্মীরীদের অবস্থার উন্নতি কি করে হবে ?’তখন এক প্যানেলিস্ট উত্তরে বলেন,’এই ইসুকে আমাদের বৃহৎ আকারে সামনে নিয়ে আসতে হবে । ভারত একটা বড় দেশ । আর ভারতের অনেক লোক আপনাদের প্রতি সহানুভূতিশীলও । অরুন্ধতী রায়, মমতা ব্যানার্জি, কংগ্রেস পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি, দলিত পার্টি…সব আপনাদের পাশে । ভারতের সব লোক তো আর মোদীর পাশে নেই ।’
ভিডিওটি এক্স-এ শেয়ার করেছেন ভাস্কর মিশ্র নামে জনৈক এক ব্যবহারকারী । তিনি প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন,’পাকিস্তানি টিভি বিতর্কে প্রকাশ্যে দেশের বিশ্বাসঘাতক দলের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে..! শেয়ার বন্ধ করা উচিত নয়..এই খবরটা প্রত্যেক ভারতীয়ের কাছে পৌঁছাতে হবে..! এটা স্পষ্ট যে “ভারতীয় জনতা পার্টি” ছাড়া ভারতের হিন্দুরা তাদের অস্তিত্ব কল্পনাও করতে পারে না..!’