দিব্যেন্দু রায়,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),০৩ মে : বাবা- ছেলে দু’জনেই পরিযায়ী শ্রমিক । শুক্রবার দূর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনটিতে চড়ে তারা কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন । কিন্তু ওড়িশার বালাসোরের কাছে দূর্ঘটনায় প্রাণ কেড়ে নিল ছেলের । ভিন্ন কামরায় থাকায় প্রাণে বেঁচে গেছেন বাবা । মৃতের নাম ছোট্টু সর্দার(১৮) । তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার করুই গ্রামে । ছোট্টুর বাবা শুকলাল সর্দার বালাসোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।
জানা গেছে,করুই গ্রামের বেশ কিছু মানুষ চেন্নাইয়ে নির্মান শ্রমিকের কাজ করেন । শুক্রবার ১০ জনের একটি দল করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে চেন্নাই যাচ্ছিলেন । ওই দলেই ছিলেন ছোট্টু সর্দার ও তার বাবা শুকলাল সর্দার । তবে বাবা ও ছেলের টিকিট ছিল দুই পৃথক কামরায় । ছোট্টুর তিনটে কামরার পিছনে ছিলেন শুকলাল । কিন্তু বাবা প্রাণে বেঁচে গেলেও দূর্ঘটনায় ছেলের প্রাণ কেড়ে নেয় । করুই গ্রামের ওই দলটির মধ্যে সঞ্চিত সর্দার(৪১) নামে এক ব্যক্তি এখনও নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে । এছাড়া ভাতার থানার বামশোর থেকে ৯ জনের একটি দল গিয়েছিল । তাদের মধ্যে কয়েকজন অল্পবিস্তর আহত হয়েছে । বালাসোর থেকে তারা বাড়ি ফিরে আসছে বলে জানা গেছে ।।