এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২২ জানুয়ারী : ভারতীয় সেক্যুলার ফ্রন্ট (ISF) এর প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে পতাকা টাঙানোকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে (Bhangore) তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলামের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর দলের লোকজনের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । শুক্রবার রাত থেকে শুরু হয় এই সংঘর্ষ । শনিবার পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল । এদিকে এই আবহে রবিবার উত্তর গাজিপুর এলাকায় তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের বাড়ির কাছে একটি জমি থেকে ব্যাগের মধ্যে রাখা বেশ কয়েকটি বোমা উদ্ধার করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ । এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে ।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী,২১ জানুয়ারী দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের কর্মীরা । তা নিয়েই বিবাদের সূত্রপাত । দু’পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহতও হয় বলে খবর । আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ভাঙড়ে তৃণমূল কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল ।
অন্যদিকে এই ঘটনার পর নওশাদ সিদ্দিকীকে তার দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা গেছে,’আমার গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে । ২০২৬ সাল পর্যন্ত গাড়ি ওই অবস্থায় থাকবে৷ বিধানসভার গেটে গাড়ি রেখে দেবো । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঢুকবে আর দেখবে একজন বিধায়কের গাড়ির কি অবস্থা করেছে তার দলের গুন্ডারা । আবাস সিদ্দিকীর ছোট ভাই নওশাদ সিদ্দিকী কি জিনিস তা দেখবে । আজ কলকাতার রাজপথ ভরে যাবে । হয় এসপার নয় উসপার । চলো চৌরঙ্গী মোড়,গুলি করলে গুলি খাবো ।’
জানা গেছে,শনিবার নওশাদ সিদ্দিকীর ওই আহ্বানের পর শত শত আইএসএফ কর্মী কলকাতার এসপ্ল্যানেড মাঠে জড়ো হয়েছিল। এই কর্মসূচি চলাকালীন তৃণমূল কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বিরোধিতা করলে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বেধে যায় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। পুলিশের ওপরও পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে । শেষ পর্যন্ত পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং জমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছোড়ে । এখন পর্যন্ত নওশাদ সহ মোট ১৯ জন গ্রেফতারের খবর পাওয়া গেছে। আই এস এফের পক্ষ থেকে তৃণমূল নেতা আরবুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে।।