প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৩ জানুয়ারি : ভরা বাজারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্করেজ থেকে গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। ধৃতদের নাম বাবু শেখ ও জামাল শেখ। পুলিশের দাবি বৃহস্পতিবার বেলায় পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের আমগড়িয়া বাজারে তৃণমূল কর্মী দুলাল শেখ (৪৫) কে খুনের ঘটনায় এই দু’জন অন্যতম অভিযুক্ত। পুলিশ ঘটনার দিন বিকালে বাবু শেখকে নবস্তা গ্রামের বাড়ি থেকে এবং জালালকে কুচুনিয়ার মাঠ থেকে গ্রেপ্তার করে ।খুনের ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্তের সন্ধান পুলিশ চালাচ্ছে ।সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ শুক্রবার দুই ধৃতকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করে । তদন্তের প্রয়োজনে ও খুনে ব্যবহৃত আগ্নেআস্ত্র উদ্ধার এবং বাকি অভিযুক্তদের নাগাল পেতে তদন্তকারী অফিসার দুই ধৃতকে ১৪ দিন পুলিশি হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় । বিচারক ধৃতদের ১১ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে,নিহত দুলাল শেখ ওরফে ইয়াশিনের বাড়ি কেতুগ্রামের আমগড়িয়া বাজার সংলগ্ন রতনপুর পীরতলার কাছে । বৃহস্পতিবার বেলা দশটার খানিক পর দুলাল শেখ আমগড়িয়া বাজারে থাকা একটি চায়ের দোকানে চা খেতে ঢোকেন । অভিযোগ ওই সময়ে আচমকাই দুস্কৃতিরা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে দুলাল শেখের মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালায়। রক্তাত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই দুলাল শেখ লুটিয়ে পড়ে। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হভে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পরেই নিহত দুলাল শেখের স্ত্রী জুম্মাতুল বিবি মোট চারজনের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর
দায়ের করেন । তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে পুলিশ বাবু শেখ ও জামাল শেখকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি দুই অভিযুক্ত রতন খাঁ ও হানিফ সেখ এখনও পলাতক রয়েছে।পুলিশ তাদেরও সন্ধান চালাচ্ছে।
পুলিশ কর্তাদের কথায় এও জানা গিয়েছে,দুই ধৃতকে জেরা করে দুলাল শেখকে খুনের কারণ হিসেবে পুরনো পরিবািক বিবাদের ঘটনা সামনে এসেছে। জেরার পুলিশ এও জেনেছে, ঘটনার দিন জালাল শেখের থেকে পিস্তল নিয়ে ইমারতি ব্যবসায়ী দুলাল শেখের মাথা লক্ষ্যকরে রতন খাঁ গুলি চালিয়েছিল।দুলাল সেখের খুনের পিছনে স ইমারত ব্যবসা নিয়ে কোন দ্বন্দ্ব ছিল কিনা সেই বিষয়টি নিয়েও পুলিশ খোঁজ খবর শুরু করেছে।
দুলাল শেখকে খুনের ঘটনার তদন্তে নামার পর পুলিশ পূর্বের একটি খুনের ঘটনা নিয়ে পুষে রাখা ক্ষোভের কথাও জানতে পেরেছে। পুলিশ জেনেছে, নবস্তা গ্রামের পূর্ব পাড়ায় রতন খাঁয়ের মা রসাই খাঁকে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর পিটিয়ে খুন করার ঘটনা ঘটে।সেই খুনের মূল অভিযুক্ত ছিল জুম্মাতুল বিবি সহ সাতজন। মায়ের খুনের বদলা নিতেই রতন খাঁয়ের নেতৃত্বে আমগোড়িয়া বাজারে দুলাল শেখকে গুলি করে খুন করার ঘটনা ঘটে কিনা তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনাজ এদিন জানান, পুলিশ তদন্ত করছে ।আমরাও দুলাল শেখকে খুনের ঘটনায় সকল অভিযুক্তদের ধরেপুলিশ শাস্তির ব্যবস্থা করুক ।।