প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০১ জুন : নির্দিষ্ট গতিতেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছুটছিল আপর ১২৫০৭ আপ তিরুবানান্তপূরম শিলচর আরোনাই এক্সপ্রেস। কিন্তু সেই ট্রেনে থাকা এক যাত্রীর মা হওয়ার অন্তিম সময় ঘনিয়ে আসায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ র্ধমান স্টেশনেই থমকে যায় ট্রেনটির যাত্রা । বর্ধমান স্টেশনের ২ নম্বর প্লাটফর্মে ট্রেনটি দাঁড়াতেই রেলের চিকিৎসা ও নার্সরা ওই ট্রেনের এস ১২ নম্বর কামরায় পৌছে যান। তাদের সহাতায় ট্রেনের কামরাতেই পুত্র সন্তানের জন্মদেন টেরেসা হাঁসদা। ট্রেনের কামরায় স্ত্রীর সন্তান প্রসব প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে সম্পাপ্ত হওয়ায় রেল কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্বামী রুবিন মাণ্ডি ।পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন,প্রসূতির সন্তান প্রসবের বিষয়টি নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে রেলের পক্ষ থেকে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
পেশায় শ্রমিক রুবিন মাণ্ডি জানান তাঁর বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের কানাইয়াবাড়ির মারিয়া গ্রামে।
শ্রমিকের কাজের জন্যই মাস ছ’য়েক আগে তিনি ও তাঁর স্ত্রী টেরেসা এক শিশু পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে কেরলে যান।আর এক শিশু পুত্র বাড়িতে রয়েছে কেরলে তাঁরা রাজমিস্ত্রীর জোগাড়ের কাজ করতেন বলে রুবিন জানান। পাশাপাশি তিনি এও জানান, স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ায় গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহে তাঁরা বাড়ি ফেরার জন্য নির্দিষ্ট ট্রেনে টিকিট পাওয়ার অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু টিকিট জোগাড় করতে পারেন না।তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা ১২৫০৭ আপ তিরুবানান্তপূরম শিলচর আরোনাই এক্সপ্রেসের টিকিট কাটেন।তাঁদের নামার কথা কিষাণগঞ্জ স্টেশনে।
কিন্তু গন্তব্যে পছানোর আগেই ট্রেনের মধ্যেই তাঁর স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রনা শুরে হয়ে যায় । সেই খবর রেল কর্তৃপক্ষ কাছে পৌছাতেই তারা তৎপরতা শুরে করেন। বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে রেখে রেলের চিকিৎসক ও নার্সরা ট্রেনের কামরাতেই নির্বিঘ্নে তাঁর স্ত্রীর সন্তান প্রসব করান ।এমন সুষ্ট ভাবে ট্রেনের কামরায় স্ত্রীর সন্তান প্রসফ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে তা কল্পনাও করতে পারেন নি বলে রুবিন মাণ্ডি মন্তব্য করেন। শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ো টেরেসা হাঁসদা বলেন , রেলের ব্যবস্থাপনায় আমি খুব খুশি।।