এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তরাখণ্ড,২৭ এপ্রিল : লাভ জিহাদিকে বেদম পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানির বাসিন্দারা । জিহাদিকে মারধরের ১ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের ভিডিওটি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন অনিল শর্মা নামে জনৈক এক ব্যক্তি । ভিডিওর সাথে তিনি লিখেছেন, ‘এই হলদওয়ানির ঘটনা, হিন্দুরা ভাড়ার লোভে মুসলমানদের দোকান দেয় এবং তারা তাদের জিহাদ করতে শুরু করে দেয় ৷ এর মোবাইলের দোকান রয়েছস যে কোন মেয়ে সেখান থেকে রিচার্জ করতে আসে তাদেরকে মেসেজ করে জিহাদ শুরু করে দেয় । এদেরকে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে বয়কট করুন ।’ ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার ঘটেছে বলে খবর ।
ওপি ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা গেছে,হলদওয়ানির কোতোয়ালি এলাকায় ‘দিল্লি মোবাইল শপ’ নামে একটি দোকান চালাচ্ছিল লাভ জিহাদি আতহারউদ্দিন । স্থানীয় এক মহিলা গত ২৫ এপ্রিল থানায় একটি লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন যে তার ১৭ বছরের নাবালিকা মেয়ে কয়েকদিন আগে মোবাইলের দোকানে রিচার্জ করতে গিয়েছিল আতহারউদ্দিনের দোকানে ৷ রিচার্জ করার জন্য তার মেয়ের নম্বর নেয় আতহারউদ্দিন। পরে সে তার মেয়েকে নোংরা মেসেজ পাঠাতে শুরু করে ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী,ওই সমস্ত মেসেজে কিশোরী বারবার আতহারউদ্দিনকে ‘ভাইয়া’ বলে সম্বোধন করেছে ডাকছে। কিন্তু আতাহারউদ্দিন ভাই হিসাবে নয় বরঞ্চ কিশোরীকে সম্পর্ক গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিল এবং রীতিমতো চাপ সৃষ্টি করছিল । পরে অবশ্য কিছু মেসেজে ডিলিটও করে দেয় আতাহারউদ্দিন। এক বার্তায় আতহারউদ্দিন তার স্বপ্নে কিশোরীকে দেখার কথাও বলেছে৷ নাবালিকার মা তার অভিযোগে আরও বলেছেন যে আতাহারউদ্দিন নিজেকে শিখ (সর্দার) সম্প্রদায় ভুক্ত দাবি করে তার মেয়েকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল ।
অভিযোগে বলা হয়েছে, এখানেই থেমে থাকেনি আতহারউদ্দিন । স্কুল বন্ধ হওয়া পর্যন্ত সে মেয়েটিকে অনুসরণ করতে থাকে। পথে সে নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি করত এবং তার হাত ধরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করত। কিশোরী আতহারউদ্দিনের কর্মকাণ্ডের কথা তার পরিচিত একজনকে জানায়। ওই ব্যক্তি কিশোরীকে সঙ্গে নিয়ে আতহারউদ্দিনের দোকানে যান । সেই সময় আতাহারউদ্দিন তার সঙ্গে ঝগড়া ও হাতাহাতি শুরু করে। অভিযোগ যে তিরস্কার করা হলে আতহারউদ্দিন হুমকি দেয়,’তোমাদের যা করনীয় আছে যা করো। আমি কাউকে ভয় পাই না। আমি সবার সামনে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যাব।’
অভিযুক্ত কিশোরীর পরিচিতকে খুনের হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ । কিশোরীর মা তার অভিযোগে বলেছেন, আতাহারউদ্দিনের এই হুমকিতে তার মেয়ে খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে । সে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে মানসিক অবসাদগ্রস্ত অবস্থায় পৌঁছে যায় । মেয়ের সঙ্গে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মেয়েটির মা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,পুলিশ লাভ জিহাদি আতহারউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে । কিন্তু এই বিষয়ে মুখ খোলেনি নৈনিতাল পুলিশ ৷ তবে হলদওয়ানির বজরং দলের কর্মী জোগিন্দর সিং রানা ওরফে জোগি জানিয়েছেন, আতহারউদ্দিন পরিবারের সঙ্গে হলদওয়ানির মুখনি রোডে থাকে । কিশোরীর চেয়ে সে অন্তত ১০ বছরের বড় । তার কাছে দোকান চালানোর বৈধ কাগজপত্রও নেই। আতারুদ্দিনের মোবাইলে আরও অনেক হিন্দু মেয়ের নম্বর এবং তাদের সঙ্গে আপত্তিকর চ্যাটিং পাওয়া গেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি । বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডে এই প্রকার দুঃসাহসিক লাভ জিহাদের ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ।।