এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলম্বো,২০ জুলাই : বুধবার শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট সদস্যদের (এমপি) ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন প্রবীণ রাজনীতিক রনিল বিক্রমাসিংহে । ২২৫ টি ভোটের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ১৩৪ ভোট । ছয়বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন ৭৩ বছর বয়সী বিক্রমাসিংহে । প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে দেশ ছেড়ে পালানোর পর এযাবৎ তিনি দেশের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলেছেন । বর্তমান শ্রীলঙ্কা পার্লামেন্টে ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) একমাত্র প্রতিনিধি রনিল বিক্রমাসিংহে । অথচ দেশের সংকটে শেষ পর্যন্ত তাঁর উপর আস্থা রেখে প্রধানমন্ত্রী,ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হল ।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের নেতা মেলানি গুনাথিলাকে বলেছেন, ‘রনিল বিক্রমাসিংহে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত “গোতাগোগামা”য় (বিক্ষোভস্থল) আমাদের আন্দোলন এবং অবস্থান কর্মসূচি চলবে । কারন আমরা ভালো করেই জানি, গোতাবায়া আর রনিল বিক্রমাসিংহে একই লোক নন । তিনি (বিক্রমাসিংহে) আরও ধূর্ত লোক । তিনি জরুরি অবস্থা জারি করে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন।’ ও রাজাপক্ষেদের সঙ্গে আঁতাতের পুরনো অভিযোগ রয়েছে বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে । তাঁদের মূলত রাজাপক্ষেদের সমর্থনেই তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পেরেছেন। এই কারণে শ্রীলঙ্কা নতুন প্রেসিডেন্ট পেলেও দেশের পরিস্থিতি হঠাৎ শান্ত হবে বলে মনে হচ্ছে না ।
উল্লেখ্য,গত নির্বাচনে বিক্রমাসিংহের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) ভরাডুবি হয় । এরপর শ্রীলঙ্কার রাজনীতি থেকে কার্যত নির্বাসনে চলে যান তিনি । অবশ্য তাঁর এই ভাগ্য ফেরার নেপথ্যে মূলত গোতাবায়া রাজাপক্ষে পরিবারের আনুকূল্য । কারণ, পার্লামেন্টে এখনো রাজাপাক্ষ দের দল শ্রীলঙ্কান পদুজনা পেরামুনা সংখ্যাগরিষ্ঠ । প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কার্যত তিনি তাঁদের প্রার্থী ছিলেন ।
অভিজ্ঞ এই রাজনীতিককে পশ্চিমি বাজার সংস্কারবাদী হিসেবে মনে করা হয় । অর্থনৈতিক সংকটে ডুবতে বসা শ্রীলঙ্কাকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সহায়তা (বেল আউট তহবিল) এনে দিতে তাঁকে সম্ভাব্য আলোচক হিসেবেও মনে করা হচ্ছে । পাঁচ হাজার কোটি ডলার বৈদেশিক ঋণের দায়ে ঋণখেলাপি একটি দেশের দায়িত্ব নিলেন বিক্রমাসিংহে । এখন নজিরবিহীন আর্থিক সংকট ও তার জন্য উদ্ভুত সমস্যার মোকাবিলা তিনি কিভাবে করেন সেদিকেই তাকিয়ে বিশ্ববাসী ।।