এইদিন ওয়েবডেস্ক,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),১৪ ফেব্রুয়ারী : এখনও বিদ্যালয়ে পা রাখেনি । কিন্তু মুখস্ত অর্ধ শতকের বেশি বাংলা কবিতা । জাতীয় সঙ্গীতের গায়কী ভঙ্গি ও প্রতিটি শব্দের নিখুঁত উচ্চারনে সকলকে মুগ্ধ করে । আর এই অসাধারন প্রতিভার গুণে ‘ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস’ এ নাম তুলে ফেলল পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম থানার গোপীনাবাটি গ্রামের বাসিন্দা চার বছর বয়সের সম্পূর্ণা গোস্বামী । তারএই সাফল্যে গর্বিত এলাকাবাসী ।
আউশগ্রামের দিগনগর-২ পঞ্চায়েত এলাকার অন্তর্গত গোপীনাথবাটী গ্রামের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক অতনু গোস্বামীর একমাত্র সন্তান সম্পূর্ণা । মা শ্রাবণীদেবী গৃহবধূ । পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ছোট থেকেই স্মার্টফোন চালানো রপ্ত করে ফেলে শিশুটি । তবে ইউটিউবে কবিতা ও ছড়া শোনার দিকেই তার ঝোঁক বেশি ছিল বলে জানিয়েছেন সম্পূর্ণার বাবা অতনু গোষ্বামী ।
তিনি বলেন ‘মেয়ের যখন মাত্র দু’বছর এক মাস বয়স তখন মোবাইলে যতীন্দমোহন বাগচির ‘কাজলা দিদি’ কবিতা শুনে শুনে মুখস্ত করে ফেলে । সেই কবিতা সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছিল । মেয়ের ওই কবিতা বহু মানুষ প্রশংসা করেছিলেন ।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্পূর্নার ‘কাজলা দিদি’র কবিতার আবৃত্তি সোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর ‘ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্তির জন্য সুপারিশ পাঠানো হয় । গত বছর ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে সম্পুর্ণার গান ও আবৃত্তির কয়েকটি ভিডিও ‘ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে’ পাঠানো হয় । তখন শংসাপত্র দিয়ে বিষয়টি অনুমোদন করে ওই সংস্থায় পাঠান অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সৌরভ চক্রবর্তী । অবশেষে সংস্থার তরফ থেকে সম্পূর্নাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় । পাশাপাশি মেডেল, পেনসহ নানা উপহারও পাঠানো হয়েছে প্রতিভাবান ওই খুদেকে । উপহার পেয়ে খুব খুশি সম্পূর্ণা । গর্বিত পরিবার পরিজনেরা ।।