এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,১৪ মে : ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র তাণ্ডবে কার্যত লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপ । বিধ্বস্ত হয়ে গেছে দ্বীপের বহু ঘরবাড়ি ও দোকানপাট । বাংলাদেশের আবহাওয়া দপ্তর আগেই সতর্ক করে জানিয়েছিল যে ‘মোখা’র কেন্দ্রস্থলের আওতার মধ্যেই পড়বে সেন্টমার্টিন দ্বীপ । বাস্তবে হয়েছেও তাই । এদিকে আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতার পরেই ১০,০০০ জনসংখ্যা বিশিষ্ট ওই দ্বীপের আড়াই হাজার মানুষ ঘূর্ণিঝড় আসার আগেই টেকনাফে চলে যায় । বাকিরা সেন্টমার্টিনেই আছে । কক্সবাজার আঞ্চলিক আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান আব্দুর রহমান জানান,রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত কক্সবাজারে ৭ মিলিমিটার এবং সেন্টমার্টিনে ২২ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে । ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করার পর বৃষ্টিপাত আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি ।
জানা গেছে,শনিবার মধ্যরাত থেকে হালকা বাতাসের সঙ্গে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয় সেন্টমার্টিন দ্বীপে । কিন্তু এদিন সকালে থেকে দমকা হাওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টির তেজও বাড়ে । সমুদ্রও উত্তাল হয়ে ওঠে । এদিন দুপুর ১ টা থেকে তীব্র ঝড়ো হাওয়ার কারণে দ্বীপের বিভিন্ন অংশের গাছপালা ও বেশকিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে যায় । তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনো স্পষ্ট নয় ।
ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধান বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন,’কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় তিন লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে । আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত ২ লাখ ৩৬ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে । এর বাইরেও বিভিন্ন স্থানে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, সব মিলিয়ে প্রায় তিন লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছেছেন ।’।