এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২৮ জুন : বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার খিলক্ষেত সার্বজনীন শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দিরে মহম্মদ ইউনূসের সরকার বুলডোজার চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বাংলাদেশে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালালো ভারত । তবে কোনো সামরিক অভিযান নয়,ফের বানিজ্যিক স্ট্রাইক চালিয়ে মহম্মদ ইউনূসকে জোর ধাক্কা দিয়েছে নয়াদিল্লি । বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে ৩ ধরনের মোট ৯টি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । শুক্রবার ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়। নিষিদ্ধ করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে- কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা ও বিশেষ ধরনের কাপড়। তবে সমুদ্রপথে মুম্বাইয়ের নবসেবা বন্দর দিয়ে এসব বাংলাদেশি পণ্য ভারতে যেতে পারবে। কিন্তু বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য তা হবে খুবই ব্যয়বহুল ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এই ৯ ধরনের পণ্য রপ্তানি হয় ১ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকার। এর ৯৯ শতাংশই রপ্তানি হয়েছে স্থলবন্দর দিয়ে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে গত তিন মাসে তিন দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ভারত। গত ১৭ মে স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা ও সুতার উপজাত, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়সহ বেশ কিছু পণ্য আমদানি বন্ধ করা হয়। এর আগে গত ৯ এপ্রিল ভারতের কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির সুবিধা প্রত্যাহার করে নয়াদিল্লি ।
এনবিআরের তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এই ৯ ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ডলার বা ১ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকার। এর মধ্যে স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি হয়েছে ১৪ কোটি ৭৭ লাখ ডলারের পণ্য। অর্থাৎ এসব পণ্যের ৯৯ শতাংশই স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি হয়।ফলে এমনিতেই বেহাল আর্থিক অবস্থায় থাকা বাংলাদেশের জন্য এটা একটা বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে ।।