এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেল আবিব,২৭ জুন : ১২ দিনের সংঘাতে ইরানেত সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইসরাইলের । তবে সুযোগ না পাওয়ায় সেটি আর সম্ভব হয়নি।বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ জানান, ইরানের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাতের সময় দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল ইসরাইলের, তবে সেই সুযোগ তারা পাননি।
ইসরাইলি টেলিভিশন চ্যানেল ১৩-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাৎজ আরও বলেন, আমরা খামেনিকে নির্মূল করতে চেয়েছিলাম, যদি আমরা তাকে খুঁজে পেতাম, তাহলে আমরা তাকে শেষ করে দিতাম। সাক্ষাৎকারে আরও প্রশ্ন করা হয়, এমন একটি হামলার জন্য কি যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতির প্রয়োজন ছিল? এর জবাবে কাৎজ বলেন, ‘এসব ক্ষেত্রে আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতির প্রয়োজন হয় না।’
এছাড়া কান এবং চ্যানেল ১২-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী একই রকম মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ইসরাইলের নীতি ছিল ইরানের আকাশসীমার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া এবং প্রয়োজনে বিমান হামলার মাধ্যমে নিশ্চিত করা যে দেশটি পারমাণবিক বা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি পুনরায় শুরু করবে না। সাক্ষাৎকারে ইসরাইল কাৎজ বলেন, ইরানি নেতাকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছিল, কিন্তু গোপন বাঙ্কারে লুকিয়ে থাকায় ইসরাইল তাকে খুঁজে পায়নি। তিনি আরও বলেন, খামেনিও এটা বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি বাঙ্কারের খুব গভীরে লুকিয়ে ছিলেন, এমনকি কমান্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিলেন… ফলে শেষ পর্যন্ত তাকে হত্যা করা যায়নি।
দুই দেশের সংঘাতের সময় ১৭ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও খামেনিকে হত্যার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমরা ভালোভাবেই জানি তথাকথিত ‘সর্বোচ্চ নেতা’ কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি একটি সহজ লক্ষ্য, তবে আপাতত নিরাপদ রয়েছেন—আমরা এখনই তাকে হত্যা করছি না। অন্তত এখনই নয়।’ যদিও ট্রাম্প এর কয়েকদিন পর মনোভাব পরিবর্তন করে বলেছিলেন, ইরানের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন তাদের উদ্দেশ্য নয়।।