এইদিন, ওয়েবডেস্ক, ১২ নভেম্বর: সাধারণ কালীপ্রতিমার সাথে মিল নেই। দেবী লোলজ্বিহা নন। দেবীর পদতলে নেই শিবও। করালবদনের পরিবর্তে প্রশান্ত এক মুখ মায়ের। বর্ধমানরাজ পরিবারের সোনারকালীর এমনই ব্যতিক্রমী রূপ। আর সোনারকালী পুজোয় বাজানো হয় প্রকাণ্ড আকারের একটি শাঁখ। যে শাঁখটি প্রায় ১২০ বছর আগে সমুদ্রতটে কুড়িয়ে পেয়েছিলেন বর্ধমানের রাজা। জনশ্রুতি রয়েছে, দেবীর ইচ্ছাতেই মহারাজ ওই অভূতপূর্ব শঙ্খটি লাভ করেছিলেন। তারপর সেটি আজও ব্যবহার হয় সোনারকালী মন্দিরে।
![](https://eidin.in/wp-content/uploads/2020/11/IMG-20201113-WA0004-1024x576.jpg)
যদিও সোনার কালী মন্দিরে এখন কালীপ্রতিমাটি সোনার নয়। অষ্টধাতূর তৈরি। ১৮৯৯ সালে এই মন্দিরটি বর্ধমান রাজার আমলে তৈরি হয়েছিল। বিশাল সিংহাসনে স্থাপিত রয়েছে দেবীর অষ্টধাতূর মূর্তি।
কথিত আছে বর্ধমানের রাজা মহতাব চাঁদের স্ত্রী রানি নারায়ণী দেবী ছিলেন খুব ধার্মিক মহিলা। তিনি তন্ত্রসাধনায় বিশ্বাসী ছিলেন।সহধর্মীনির ইচ্ছাতেই রাজবাড়ির মিঠাপুকুর এলাকায় মহতাব চাঁদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘ভুবনেশ্বরী মন্দির’। পরবর্তীতে এই মন্দিরের নামকরণ হয় সোনার কালীবাড়ি হিসাবে। কারণ সর্বপ্রথম কালীর বিগ্রহটি সোনার তৈরি ছিল। সাতের দশকে সেই সোনার মূর্তি চুরি হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় এই মূর্তিটি।
সোনারকালী মন্দিরের বিশেষ আকর্ষন প্রাচীন আমলের প্রকাণ্ড শঙ্খ। প্রায় ১২০বছর আগে এই শঙ্খটি সমুদ্রতটে কুড়িয়ে পাওয়া। মায়ের নিত্য পুজোয় এই শঙ্খটি বাজানো হয়।