এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,০৫ ডিসেম্বর ঃ ফের তৃনমুল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় শুভেন্দু অধিকারী । শনিবার তিনি বাঁকুড়ার তালডাংরায় দলীয় কর্মসুচীতে যোগ দেন । সেখানে ভাষন রাখতে গিয়ে নাম না করে শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে কল্যান বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়ায় থাকলে অনেকে বড় বড় নেতা হতে পারেন। গাছটার তলা থেকে সরে গেলে সে বুঝতে পারবে কতো বড় নেতা’। উল্লেখ্য,ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিবসে গড়বেতার একটা অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘পান্তা ভাত খাওয়া,মুড়ি খাওয়া গ্রামের ছেলেটা আদর্শের জন্য লড়াই করেছে। আদর্শের জন্য লড়বে ।’ শুভেন্দু সেই বক্তব্যের রেশ টেনে এদিন কল্যান বলেন, ‘পোজ মেরে পান্তাভাত খাওয়ার গল্প না বললেও চলবে। আমরা বাঁকুড়ার ছেলে পান্তাভাত খেয়ে বড় হয়েছি, কাজু বাদাম খেয়ে নয়।’
এদিন দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ‘যারা দিনের বেলায় তৃনমুল করছে আর রাত্রি বেলায় বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে তাদের বাড়িতে ঢুকতে দেবেন না । যদি বিজেপি বা সিপিএম করতে চাও করো । তাতে কোনও অসুবিধা নেই । কিন্তু তৃনমুল করবো অথচ রাতের বেলায় বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখবো,সেটি এখন হতে দোবো না ।’
তবে শুধু শুভেন্দু অধিকারীই নন এদিন রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকেও ছাড়েননি কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় । রাজ্যপালকে ‘গুণ্ডাদের আশ্রয়দাতা’ ও দু’নম্বরী শিল্পপতিদের নিয়ে টী পার্টি করেন’ বলেও অভিযোগ করেন তিনি । পাশাপাশি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ‘ব্যাকডোর’ দিয়ে বিজেপিকে রাজ্যে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলেন কল্যান । এরপর তিনি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন ‘রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি করে দেখাও। কলকাতা শহরে তোমার গাড়ি চলতে দেবো না । আটকে দেবো।’
পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য অঞ্চলে অঞ্চলে ঘুরে বেড়াবো । বাঁকুড়া জেলার প্রান্তে প্রান্তে ঘুরে বেড়াবো । আমি দেখতে চাই বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর লোকসভায় বিজেপির গুন্ডাদের কত ক্ষমতা ।’।