এইদিন ওয়েবডেস্ক,স্পেন,২৬ মে : কার্লা সোফিয়া গ্যাসকোন(Karla Sofia Gascon),৫২ বছর বয়সী একজন ট্রান্সজেন্ডার পুরুষ,যিনি কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন । মিউজিক্যাল ক্রাইম কমেডি ফিল্ম “এমিলিয়া পেরেজ”(Emilia Perez)-এ অসাধারণ অভিনয়ের জন্য তাকে এবারে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে । যেখানে তিনি মেক্সিকোর একজন প্রাক্তন ট্রান্স ড্রাগ পাচারকারীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন । ফ্রেঞ্চ রিভেরার মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতায় পুরস্কার জিতে গ্যাসকোনও প্রথম ট্রান্স পারফর্মার হিসাবে ইতিহাস তৈরি করেছেন ।
কানের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে ট্রান্সজেন্ডারের প্রতি মানুষের ঘৃণার দৃষ্টিভঙ্গি বর্ণনা করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন গ্যাসকোন । তিনি বলেন,’আমি এই পুরষ্কারটি সেই সমস্ত অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের জন্য উৎসর্গ করতে চাই যারা প্রতিদিন দরজায় দরজায় কড়া নাড়ে কিন্তু কেউ দরজা খোলে না । তাদের জানাতে দিন যে কখনও কখনও সেই দরজাগুলি তাদের জন্যও খুলতে হয় ।’
কার্লা সোফিয়া গ্যাসকোন ১৯৭৫ সালে কার্লোস গ্যাসকোন হিসাবে মাদ্রিদে জন্মগ্রহণকারী, আশির দশকের শেষের দিকে ক্যামেরার সামনে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন,১৯৯৬ সালে ২১ পর্বের ‘এল সুপার’ (টেলিসিঙ্কো) ধারাবাহিকে নিজের অভিনয় প্রতিভার ছাপ রাখেন । পরে ১৯৯৭-১৯৯৮-এ ৫ পর্বের ‘নিউ স্ট্রিট’ ধারাবাহিকে তাকে দেখা যায় । ২০০৫ সালে ছিল ‘দ্য পাস্ট ইজ টুমরো’ এবং চার বছর পরে সোপ অপেরার “কোরাজন স্যাভেজ” এর নতুন সংস্করণে ব্রাঙ্কোর চরিত্র বা “লেনা দে আমোর”-এর প্রচারক জর্জ জাউমার চরিত্রের অভিনয়ের জন্য জনপ্রিয়তা অর্জন করেন । তবে তাকে খ্যাতি এনে দেয় মেক্সিকান ব্লকবাস্টার সিনেমা “নোসোট্রোস লস নোবেলস”-এ । ছবিতে তার ভূমিকা ছিল একটি ধনী পরিবারের মেয়ের প্রেমিক হিসাবে ।
ওই ছবিতে অভিনয়ের কয়েক বছর পরে তিনি তার রূপান্তর শুরু করেন এবং কার্লা সোফিয়া গ্যাসকোন হয়ে ওঠেন । তারপর তিনি একজন অভিনেত্রী হিসাবে তিনি আত্মপ্রকাশ করেন । সোফিয়া গ্যাসকোনের বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী এবং এক কন্যাসন্তান । ২০১৮ সালে তিনি তার আত্মজীবনীমূলক বই “কারসিয়া” লেখেন ।।