প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৪ নভেম্বর : ১০ চাকার কন্টেনারের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বাইক আরোহীর । মঙ্গলবার রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান রেলস্টেশনের উপর ঝুলন্ত রেল সেতুতে । পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম সন্তোষ মিশ্র (৪০) । তাঁর বাড়ি বর্ধমানের বাজেপ্রতাপুর এলাকায় । খবর পেয়ে বর্ধমান সদর থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় । বুধবার মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে । ঘাতক কন্টেনারটি আটক করেছে পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে,কন্টেনারের চালক ও খালাসি পলাতক । তাদের সন্ধান চলছে ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,মঙ্গলবার নিজের কাজে বাইকে চড়ে বর্ধমান শহরে গিয়েছিলেন সন্তোষ মিশ্র । কাজ সেরে রাতের দিকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন । তিনি ঝুলন্ত রেল সেতুতে ওঠার পর বাজেপ্রতাপুরের মুখে কিছুটা এগুতেই ঘটে যায় মর্মান্তিক পথ দূর্ঘটনাটি । ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই বাইক আরোহীর কিছুটা পিছনেই ছিল মহারাষ্ট্রের নম্বর প্লেট লাগানো ১০ চাকার ওই কন্টেনারটি । কন্টেনারটিও একই মুখে যাচ্ছিল । কন্টেনারটি প্রবল গতিতে যাওয়ার সময় সন্তোষবাবুর বাইকের পিছনে সজোরে ধাক্কা দেয় । তিনি ছিটকে বাইকসহ কন্টেনারের চাকার নিচে এসে পড়েন । ওই অবস্থাতেই তাঁকে বেশ কিছুটা ছেঁচড়ে নিয়ে যায় কন্টেনারটি ।
জানা গেছে,এদিকে সংঘর্ষের আওয়াজ শুনে আশপাশের লোকজন দূর্ঘটনাস্থলের দিকে ছুটে আসে । বেগতিক বুঝে কন্টেনারের চালক ও খালাসি গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায় । খবর পেয়ে আসে বর্ধমান সদর থানার পুলিশ । শেষে ক্রেন নিয়ে এসে কন্টেনারের চাকার নিচ থেকে বাইকসহ আরোহীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় । দূর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষনের জন্য বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য সড়ক পথে যান চলাচল ব্যাহত হয় ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন,নতুন রেল সেতুতে কোনও আলো জ্বলে না । সন্ধ্যা হলেই সেতুতে ঘন অন্ধকার নেমে আসে । তার ফলে প্রায়ই ছোটখাটো দূর্ঘটনা ঘটে । এনিয়ে বারবার বর্ধমান পুরসভার কাছে তদ্বির করা হলেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ । অবিলম্বে সেতুতে আলোর ব্যাবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।।