এইদিন স্পোর্টস নিউজ,৩০ নভেম্বর : দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রাক্তন ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর বোলার দক্ষিণ আফ্রিকার লনওয়াবো সতসবেকে। সতসবে ছাড়াও দেশটির প্রাক্তন ক্রিকেটার থামি সোলেকিল ও এলি এমবালাতিকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ। দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্নীতি প্রতিরোধ ও নির্মূল আইনের আওতায় অভিযোগ আনা হয়েছে সতসবে, থামি সোলেকিল এবং এলি এমবালাতির বিরুদ্ধে। এই তিনজনের বিরুদ্ধে খেলাধুলায় ফিক্সিংয়ের চেষ্টার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ঘরোয়া টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ফিক্সিং–চেষ্টার দায়ে সিএসএ ৭ জন ক্রিকেটারকে শাস্তি দিয়েছিল। এর মধ্যে এই তিন ক্রিকেটার অন্যতম।
খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার ২০০৪ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ ও নির্মূল আইনের অধীনে গ্রেপ্তার তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়। যে ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেটি খেলাধুলায় দুর্নীতিবিষয়ক কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত। ২০০০ সালে প্রাক্তন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক হানসি ক্রোনিয়ের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই আইনটি করা হয়েছিল। আইনটি প্রচলনের পর খেলোয়াড়দের মধ্যে সতসবে, সোলেকিল ও এমবালাতিই প্রথম অভিযুক্ত হলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা পুলিশের বিশেষ শাখা ডিপিসিআইয়ের (ডিরেক্টরেট ফর প্রায়োরিটি ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন) তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতেই তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ডিপিসিআইয়ের ন্যাশনাল হেড লেফটেন্যান্ট জেনারেল গডফ্রে লেবেয়া বলেন, দুর্নীতি খেলাধুলার অখণ্ডতাকে ক্ষুণ্ন করে এবং ডিপিসিআই সমাজের সব ক্ষেত্রে ন্যায্যতা ও পেশাদারত্বের মূল্যবোধ রক্ষা করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
সতসবেদের বিরুদ্ধে ওঠা সবগুলো অভিযোগ ২০১৫–১৬ রাম স্ল্যাম চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টকে ঘিরে। অভিযোগ তদন্ত করে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা ফিক্সিং–চেষ্টার দায়ে ৭ জনকে শাস্তি প্রদান করে। তাদের মধ্যে গুলাম বদি আগেই কারাভোগ করেছেন। আর জিন মিমেস এবং পুমি মাতশিকিওয়ে ২০২১ ও ২০২২ সালে অপরাধ স্বীকার করায় শাস্তি স্থগিত করা হয়েছে। অন্যদিকে সতসবে, সোলেকিল ও এমবালাতির নিষেধাজ্ঞার সাজা ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা আছে। সপ্তম ক্রিকেটার আলভিরো পিটারসেনের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা বিস্তারিত জানা যায়নি।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২০০৯ সালের ৩০ জানুয়ারি ওয়ানডেতে অভিষেক হয় তারা। এরপর থেকে তিনি ৬১ ওয়ানডেতে ৯৪ উইকেট সংগ্রহ করেন। ২০০৯ সালের ১১ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়। এরপর থেকে তিনি ২৩ টি–টোয়েন্টিতে ১৮ উইকেট লাভ করেন। সাদা পোষাকে তার অভিষেক হয় ২০১০ সালের জুন মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এরপর থেকে তিনি মাত্র ৫ টেস্ট খেলার সুযোগ পান। ৫ ম্যাচে তিনি ৯ উইকেট লাভ করেন।
সতসবে সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন ২০১৩ সালের ১১ ডিসেম্বর ভারতের বিপক্ষে। ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি ভারতের বিপক্ষে সবশেষ সাদা পোষাকের ম্যাচ খেলেন। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের মে পর্যন্ত ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বর বোলার ছিলেন তিনি ।।