এইদিন ওয়েবডেস্ক,ত্রিপুরা,০৯ জানুয়ারী : পরিযায়ী শ্রমিক স্বামী কেরালা থেকে ফোনে তিন তালাক দিয়েছে । দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে একা থাকেন বধূ । সেই সূযোগে বধূকে ধর্ষণ করতে গিয়েছিল তার শ্বশুর । কিন্তু শ্বশ্বর নগ্ন হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার মুহুর্তে বধূ চিৎকার করতে শুরু করে দেয় । এদিকে হাতেনাতে ধরা পড়ার ভয়ে উলঙ্গ হয়েই দৌড়ে পালিয়ে যায় গুনধর শ্বশুর । এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার গোমতী জেলার কামালপুরের মোহনপুর গ্রামে । বধূর বক্তব্যের ভিডিও হিন্দু ভয়েসের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করা হয়েছে ।
ভিডিও শেয়ারের পাশাপাশি লেখা হয়েছে,ত্রিপুরা গোমতী জেলার কামালপুরের এক বিবাহিত মুসলিম নারীর বেদনাদায়ক কাহিনী। ইসমাইল মিঁয়া, তার শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করে। সে সাহায্যের জন্য চিৎকার করলে ইসমাইল মিঁয়া নগ্ন অবস্থায় পালিয়ে যায়। তার স্বামী, একজন অভিবাসী শ্রমিক, যিনি কেরালায় কাজ করেন, তাকে ফোনে তিন তালাক দিয়েছিলেন। তিনি বলেন,’আমি পঞ্চায়েত অফিসে গিয়েছিলাম। কেউ আমাকে সাহায্য করেনি। সবাই আমাকে চরিত্রহীন নারী বলে আখ্যা দিয়েছে। আমি আমার দুই সন্তান নিয়ে অসহায়।’
ভিডিওতে বধূকে বলতে শোনা গেছে, তার স্বামী সেলিম মিঁয়া কেরালায় পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করে। বিগত ২ বছর ধরে সে এই কাজ করছে । মোহনপুর গ্রামের মসজিদের পিছনে তার বাড়ি । তাদের বিয়ে হয়েছিল ১২ বছর আগে এবং ১০ বছরের ছেলে ও ১ বছরের মেয়ে রয়েছে । এক বছর আগে তার স্বামী ফোনে তাকে তিন তালাক দিয়ে দেয় । তারপর থেকে মসজিদের পাশে হাকিমের বাড়িতে তিনি সন্তানদের নিয়ে ভাড়া আছেন । শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে । তার বাবা-মাও মারা গেছেন । এই পরিস্থিতিতে তিনি দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।।