এইদিন ওয়েবডেস্ক,কুমিল্লা,২৯ মে : চলছিল আওয়ামী লীগের দুই যুব সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষ । তারই মাঝে বলির পাঁঠা করা হল এক হিন্দু পরিবারকে । ওই পরিবারের নগদ টাকা,সোনার গহনা থেকে শুরু করে টিভি, আসবাবপত্রসহ সর্বস্ব লুটপাট করেছে কট্টরপন্থীদের দল । ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপ-জেলায় । আর সেই লুটপাটে নেতৃত্ব দিয়েছে খোদ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদ । শুধু লুটপাটই নয়,ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের লাঞ্ছিতও করা হয় বলে অভিযোগ । পরিবারের কর্তা পরিমল সরকার এনিয়ে চেয়ারম্যানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে । অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছে চেয়ারম্যানলনের ছোট ভাই মোহম্মদ আকতারুজ্জামান, কাজী বিল্লাল, কাজী হেলাল, জায়দাল হোসেন, শাহীন ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, দিদারুল আলম ফয়েজ, গাফ্ফার ও মামুন প্রমুখ । অভিযোগকারীর পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী নিজামুল হক নিজাম বাংলাদেশের ‘কালবেলা’ পত্রিকাকে বলেছেন,’আমরা আশা করি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি ন্যায়বিচার পাবে ।’
মিডিয়া রিপোর্টে জানা গেছে,ঘটনাটি ঘটে চলতি মাসে । ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ও যুব শাখার মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ওই দিন । অভিযোগকারী পরিমল সরকারের কোনো সদস্যই ওই দুই সংগঠনের সাথে যুক্ত নয় । অথচ সংঘর্ষের মাঝে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদের নেতৃত্বে দলবল পরিমলবাবুদের বাড়িতে ঢুকে প্রথমে ব্যাপক ভাঙচুর চালাতে শুরু করে । তারপর তারা লুটপাট চালায় । বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পরিমলবাবুর পরিবারের সদস্যরা । পরিবারের মহিলাদের পর্যন্ত হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ । জানা গেছে, প্রথমে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন পরিমলবাবু । কিন্তু পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করলে শেষে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন ।।