এইদিন ওয়েবডেস্,ওয়াশিংটন,১২ মার্চ : তুর্কমেনিস্তানে নিযুক্ত পাকিস্তানি কূটনীতিককে আমেরিকায় প্রবেশ করতে দেয়নি সংশ্লিষ্ট মার্কিন প্রশাসন। তাঁকে লস অ্যাঞ্জেলস থেকে ফিরে যেতে বলা হয়। সোমবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বরিষ্ঠ কর্মকর্তার উদ্ধৃতিতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, তুর্কমেনিস্তানে নিযুক্ত পাকিস্তানি কূটনীতিক কে.কে. ওয়াগানকে ঢুকতে দেয়নি আমেরিকা। জানানো হয়, তাঁর ইমিগ্রেশন জটিলতা রয়েছে। এ কারণে তিনি দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না। যদিও কে কে ওয়াগানের কাছে তখন মার্কিন বৈধ ভিসা ছিল। এমনকি তাঁর সঙ্গে প্রয়োজনীয় বৈধ কাগজপত্রও ছিল ।
ব্যক্তিগত সফরের জন্য লস অ্যাঞ্জেলেসে ভ্রমণ করার সময় মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ কে কে ওয়াগানকে আটকে দেয়। এরপর যেখান থেকে তিনি লস অ্যাঞ্জেলসে গেছেন, সেখানে ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়। পাকিস্তান ও আমেরিকার মধ্যে এমন কূটনৈতিক ঘটনা বিরল। কূটনৈতিক সূত্রের উদ্ধৃতিতে দ্য নিউজ বলছে, ‘বিতর্কিত ভিসা রেফারেন্সের’ জন্য ওয়াগানকে চিহ্নিত করেছিল মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ, যার ফলে তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে সেখান থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়। যদিও এরকম হওয়ার কারণ আসলে কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ওয়াগান একজন অভিজ্ঞ কূটনীতিক। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্ত তিনি। কাঠমান্ডুতে পাকিস্তান দূতাবাসে দ্বিতীয় সচিব, লস অ্যাঞ্জেলেসে পাকিস্তান কনস্যুলেট জেনারেলের ডেপুটি কনসাল জেনারেল, ওমানের মাস্কাটে ডেপুটি হেড অব মিশন/কাউন্সিলর এবং রাষ্ট্রদূত, নাইজারের নিয়ামেতে পাকিস্তান দূতাবাসে মিনিস্টার/চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স/মিশন প্রধান, ইসলামাবাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের মহাপরিচালকসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এ কারণে এবার পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে রাষ্ট্রদূত ওয়াগানকে তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য ইসলামাবাদে যেতে হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।।
America did not allow Pakistani diplomat to enter the country