এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৯ জুন : কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদেইবিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে শনিবার দুুপুরে গড়িয়াহাট চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার সহ একাধিক বিজেপি নেতাকে। তাদের আনা হয়েছিল লালবাজারে। রাতভর লালবাজার সেন্ট্রাল লক আপে নিশি যাপন করেছেন সুকান্ত মজুমদার,জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ও তমোঘ্ন ঘোষসহ বাকি বিজেপি নেতারা । লালবাজারের বাইরে রাতভর দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ চলে । পুলিশ বিজেপি নেতাদের ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন নিতে বলেছিল । কিন্তু তারা রাজি হননি । আজ রবিবার সকালে সুকান্ত মজুমদার লকআপ থেকে বেরিয়ে বললেন, এরপর কোথাও গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করা হলে, কেউ ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন নেবেন না।’ তিনি আরও বলেন,’আমি, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, তমোঘ্ন ঘোষ সহ ৩২ জন নেতা মিলে জামিন প্রত্যাখান আন্দোলন শুরু করলাম।’ পাশাপাশি তিনি কলকাতা পুলিশকে নজিরবিহীন ভাষায় আক্রমণ করে বলেছেন, ‘স্বৈরাচারী মমতা ব্যানার্জির ব্যক্তিগত ভৃত্যে পরিণত হওয়া নির্লজ্জ কাপুরুষ কলকাতা পুলিশ’ ।
সুকান্ত মজুমদার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পেজে লিখেছেন,’গতকাল দুপুর থেকে সারারাত লালবাজার সেন্ট্রাল লক আপে থাকার পর কিছুক্ষণ আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত ভৃত্যে পরিণত হওয়া নির্লজ্জ কাপুরুষ কলকাতা পুলিশ এর আওতা থেকে বেরিয়ে এলাম। স্বৈরাচারী মুখ্যমন্ত্রী তার দলদাস পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে আমাদের সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অগণতান্ত্রিকভাবে গ্রেফতার করানোর পর, গতকাল রাতে আমাদের বিভিন্ন সময় বহুবার চাপ দিয়েছে যাতে আমরা বেইল বন্ডে স্বাক্ষর করি। কিন্তু আমরা পুলিশের এই ফরমান মানতে প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। আমরা সিদ্ধান্ত নিই, আমরা কোথাও কোনও স্বাক্ষর করব না বরং পুলিশ আমাদের আদালতে পেশ করুক। কিন্তু অদ্ভুতভাবে গতকাল আমাদের পুলিশ চাপ দিয়েছে, যাতে আমরা দ্রুত সেন্টার লকআপ থেকে বেরিয়ে যাই এবং কোথাও কোন স্বাক্ষর করার প্রয়োজন নেই!
সেক্ষেত্রে আমি সরাসরি কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং রাজ্যের ডিজিপি কে প্রশ্ন করতে চাই, তাহলে কিসের ভিত্তিতে আমাদের বলপূর্বক গ্রেপ্তার করে লালবাজারে নিয়ে আসা হলো! গতকাল দুপুরে পুলিশের আক্রমণে আমাদের বহু কার্যকর্তা আহত হয়েছেন। রাতে তাদের জন্য প্রাথমিক ওষুধেরও বন্দোবস্ত করা হয়নি, পর্যাপ্ত পানীয় জলের বন্দোবস্ত পর্যন্ত করা হয়নি! সেটুকুর জন্যও তাদের লড়াই করেতে হয়েছে।
গতকাল আবার স্পষ্ট হয়ে গেল, কিভাবে কাপুরুষ কলকাতা পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে রাজ্যে আইনের শাসন কে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করছেন স্বৈরাচারী মুখ্যমন্ত্রী! তাদের এতোটুও সাহস নেই তারা আমাদের আদালতে পেশ করতে পারে! রাজ্যে অরাজকতা এবং অগণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরীর লক্ষ্যেই যে এই ধরনের দুষ্কর্ম পুলিশকে ব্যবহার করে করা হচ্ছে তার নিদর্শন এই ঘটনা।
আর তার জন্যই কলকাতা পুলিশের এই ভয়, যে তারা আমাদের আদালতে পর্যন্ত পেশ করতে অসমর্থ্য হয়েছে। আমরা যেমন তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্বৃত্ত পিশাচ বাহিনীর হাত থেকে বাংলার মা-বোনেদের সম্ভ্রম রক্ষার জন্য লড়াই লড়ছি, তা যেমন আমরা অব্যাহত রাখবো ঠিক তেমনি পুলিশকে ব্যবহার করে মুখ্যমন্ত্রীর এই স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্রের শাসনের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই অব্যাহত থাকবে।’।