এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১২ জুন :
স্বচ্ছ গোলাপি বর্ণের সাপ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য চড়াল ভাতারের বেলেন্ডা গ্রামে । শনিবার স্থানীয় এক গৃহস্থের বাড়িতে এই বিরল দর্শন সাপ দেখে গ্রামবাসীরা অতি বিষধর বলে সন্দেহ করেন । যদিও তাঁরা সাপটিকে না মেরে খবর দেন ভাতার বাজারের বাসিন্দা ধীমান ভট্টাচার্য নামে এক সর্পপ্রেমী তথা সর্প গবেষককে । তিনি গিয়ে সাপটিকে উদ্ধার করে আনেন । ধীমানবাবু জানিয়েছেন সাপটি আদপেই বিষধর নয় । শেষে তাঁর কাছ থেকে এই কথা শোনার পর আশ্বস্ত হন গ্রামবাসীরা ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বেলেণ্ডা গ্রামের বাসিন্দা জনৈক আনন্দ গরাইয়ের বাড়িতে এদিন সকালে ইঞ্চি দশেকের দীর্ঘ ওই সাপটিকে দেখা যায় । সাপটির চোখ দুটি কালো । গায়ের রং স্বচ্ছ গোলাপি । এতটাই স্বচ্ছ যে শরীরের ভিতরের শিরা উপশিরা বাইরে থেকেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে । আনন্দবাবু বলেন, ‘এরকম সাপ আগে কখনও দেখিনি । তাই সাপটিকে খুব বিষধর বলে মনে করেছিলাম । যদিও সাপটি মারিনি । প্রতিবেশীদের ডেকে দেখাই । তখন ওনারাই ধীমান ভট্টাচার্যকে খবর দেওয়ার পরামর্শ দেন ।’
জানা গেছে,এরপর আনন্দবাবুর ছেলে অরিন্দম গরাই ফোন করে ধীমানবাবুকে সাপের বিবরন দিলে উনি দ্রুত বেলেণ্ডা গ্রামে চলে আসেন । তারপর তিনি সাপটিকে কৌটোবন্দি করে নিয়ে যান । ধীমান ভট্টাচার্য বলেন, ‘সাপটি মোটেই বিষধর নয় । আদপে এটি চালচিতি বা উলফ স্নেক। যার বিজ্ঞানসন্মত নাম লাইকোডোন ।’ কিন্তু সাপটি বিরল দর্শন হওয়ার কারন কি ? এর উত্তরে ধীমানবাবু বলেন, ‘প্রাণীদেহের ডিসঅর্ডারের কারনেই সাপটি এমন বিরল দর্শন । আসলে এটি একটি লুইসিস্টিক স্নেক। শরীরের রঞ্জক কনা বা মেলানিনের ঘাটতির জন্য এমনটা হয় ।’ তিনি জানিয়েছে,কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর সাপটি ছেড়ে দেওয়া হবে ।।