এইদিন ওয়েবডেস্ক,জালাউন,১৭ জুন : উত্তরপ্রদেশের জালাউন(Jalaun) জেলায় লাভ জিহাদের এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে । অভিযোগ,এক হিন্দু কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিল কাম্পু জেলার আবাদপুরা থানার গোয়ালিয়রের বাসিন্দা আহমেদ খানের ছেলে আজহার খান নামে এক যুবক । আজহার তার বন্ধু গোয়ালিয়রের ঘোদাপুরার বাসিন্দা হাবিব খানের ছেলে ফাইম খানের সাহায্য নিয়ে কিশোরীকে গাড়িতে চাপিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল । কিন্তু খবর পেয়ে গাড়িটি পিছু ধাওয়া করে ধরে ফেলে কিশোরীর পরিবার । তারপর দুই যুবককে বেদম মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় । কোতোয়ালি থানার পুলিশ ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে । এদিকে খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানায় পৌঁছে যায় ভিএইচপি জেলা সহ-সভাপতি সাকেত শান্ডিল্য, শহর সভাপতি ঠাকুর শিশির প্রতাপ সিং এবং বজরং দলের অন্য সমস্ত কর্মীরা । তাদের অভিযোগ ওই কিশোরী লাভ জিহাদের শিকার । যদিও লাভ জিহাদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ ।
সংবাদপত্র অমৃত বিচারের প্রতিবেদনে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বছর সতেরোর ওই হিন্দু কিশোরীকে কঞ্চ থেকে একটি চার চাকার গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল আজহার খান ও ফাইম খান । কোনোভাবে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারলে তারা এমপি ৩৩ সি ৩৯৫৭ নম্বর সাদা এরটিগা গাড়িটিকে অনুসরণ করে। গাড়ির চালক গাড়িটিকে অনুসরণ করছে দেখে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেয় । কিন্তু রাস্তার বেহাল দশার কারণে গাড়ির টায়ার ফেটে একটি গাছে ধাক্কা দেয় । দুই যুবক গাড়ি থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তরুণীর পরিবার তাদের ধরে ফেলে । এর পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতা দুই মুসলিম যুবককে বেধড়ক মারধর করে । এদিকে পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে ।
মেয়েটির মা অভিযোগ করেছেন যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গোয়ালিয়রের কাম্পু এলাকার বাসিন্দা আজহার খান তার নাবালিকা মেয়েকে প্রেমজালে ফাঁদে ফেলে এবং ফোনে বিয়ের প্রস্তাব দেয় । আজহার খান তার মেয়েকে লাভ জিহাদের অধীনে ধর্মান্তরিত করতে চেয়েছিলেন এবং কিছু বড় ঘটনা ঘটাতে চলেছিল বলে সন্দেহ কিশোরীর মায়ের । তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা এবং তার ও তার মেয়ের নিরাপত্তা দাবি করেন ।
যদিও কোতোয়ালির সিও রামসিংহ যাদব বলেছেন যে একটি নাবালিকা মেয়েকে অপহরণের ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে, যার ভিত্তিতে আইপিসির নির্দিষ্ট ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে । মেয়েটি গোয়ালিয়রে থাকত, সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই যুবকের সাথে তার পরিচয় হয়, গোয়ালিয়রের ছেলে দুটি তার সাথে দেখা করতে এসেছিল, যাদের মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে ।’ কোতোয়াল নগেন্দ্র কুমার পাঠক জানান, অভিযুক্ত দুই যুবকের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করে আরও তদন্ত করা হচ্ছে। এখানে লাভ জিহাদ বলে কিছু নেই ।।