এইদিন ওয়েবডেস্ক,উদয়পুর(রাজস্থান),২৮ এপ্রিল : প্রথমে মাদক মেশানো তরল পান করিয়ে বেহুঁশ করে ধর্ষণ । সেই অশ্লীল দৃশ্যের ভিডিও নিজের মোবাইল ক্যামেরায় রেকর্ড করে শুরু হয় ব্লাকমেল । শেষে এক ৮ বছরের শিশুকন্যার মা ওই হিন্দু মহিলাকে ব্লাকমেল করে বিয়ে করতে বাধ্য করে এক মুসলিম আধিকারিক । মা ও মেয়ের ধর্ম ও নাম পরিবর্তন করে শুরু হয় পাশবিক অত্যাচার । রাজস্থানের উদয়পুরের একটি এলাকার গ্রাম উন্নয়ন কর্মকর্তা আজমল খান (৫৭)-এর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে স্থানীয় সাভিনা থানায় একটি এফআইআর রজু করেছেন ৩৮ বছরের ওই মহিলা । পুলিশ জানিয়েছে,বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ।
ওপি ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা গেছে, অভিযুক্ত আজমল খান কোটরা গ্রামের মেওয়ার কা মঠ গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রাম উন্নয়ন আধিকারিক । মহিলাকে ফাঁদে ফেলার আগে সে দু’বার বিয়ে করেছে । দুই স্ত্রীর সঙ্গেই সম্পর্ক রয়েছে তার । পুলিশের কাছে দেওয়া অভিযোগে নির্যাতিতা মহিলা জানিয়েছেন,আজমল খান প্রথমে তাকে মাদক খাইয়ে পনবন্দি করে । এরপর ধর্ষণের পর অশ্লীল ভিডিও করে। এই ভিডিওর সাহায্যে সে ব্ল্যাকমেল ও হুমকি দিতে থাকে । আজমল তাকে বলেছিল যে সে তার কথা না শুনলে সে তার ৮ বছরের মেয়েকে অপহরণ করে বিক্রি করে দেবে । একথা শুনে তিনি খুব ভয় পেয়ে যান । তিনি আরও জানান,এভাবে তাকে ব্লাকমেল করে ২০২১ সালের ১৭ ডিসেম্বর তাকে বিয়ে করতে বাধ্য করে আজমল খান । তখন আজমল জানায় সে অবিবাহিত । এদিকে বিয়ের পর তাকে ও তার মেয়েকে ধর্মান্তরিত করে নাম পরিবর্তন করা হয় । বাড়ি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সমস্ত দেবদেবীর মূর্তি ও ছবি । পরে তিনি জানতে পারেন ইতিমধ্যেই আজমলের দুই স্ত্রী রয়েছে ।
মহিলার অভিযোগ,বিয়ের পর থেকেই আজমল খান তাকে প্রতিদিন মারধর করত । চলতি মাসের ২ এপ্রিল সে তার এক স্ত্রীর কাছে চলে যায় । আজমলকে হাতেনাতে ধরতে তিনিও যান সেখানে । কিন্তু তাকে নির্মমভাবে মারধর করে আজমল । তিনি চোখে ও হাতে গুরুতর আঘাত পান । শেষে তিনি সাভিনা থানায় গিয়ে অভিযুক্ত আজমলের বিরুদ্ধে মামলা করেন । অন্যদিকে আজমল খানের অভিযোগ ওই মহিলা তাকে হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছেন ।।