এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২১ মে : নবান্ন থেকে এক আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে ফোন করে তিন কর্মীকে নিয়োগের টোপ দিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে চাওয়া হল ৬০ হাজার টাকা। পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের বলগোনা পঞ্চায়েতের প্রধান আমজাদ শেখ যদিও সেই টাকা দেননি। প্রতারণার শিকার হতে চলেছেন বুঝতে পেরে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন বিডিওর কাছে। এভাবে নবান্নের নাম করে উড়ো ফোন থেকে টাকা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত প্রধান। ভাতারের বিডিও তপন সরকার বলেন,” পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে বিষয়টি জানার পর বোঝা যাবে।”
ভাতারের বলগোনা পঞ্চায়েতের প্রধান আমজাদ শেখ জানান এদিন শুক্রবার সকাল ১১ টা নাগাদ তার কাছে প্রথমে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে ভাতার থানার এক এস আই পরিচয় দিয়ে। আমজাদ শেখ বলেন,” ভাতার থানার এক অফিসার পরিচয় দিয়ে ফোন করে বলেন ,নবান্ন থেকে আপনাকে ফোন করবে। আপনি ফোনটা ধরবেন। তার ঘন্টাখানেকের মধ্যেই আমার কাছে ওই ফোন আসে। নবান্ন থেকে বলছি পরিচয় দিয়ে প্রথমে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ সম্পর্কে জানতে চান। দীর্ঘক্ষণ কথা বলার পর তিনি বলেন “তিনজন কর্মী নিয়োগ হবে।আপনি পছন্দের তিনজনের নাম ও তাদের তথ্য পিডিএফ ফাইল করে মেল করুন। তারপর শেষে বলেন,”তিনজনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে ড্রাফট কাটতে হবে।এরপরেই আমার সন্দেহ হয়।”
আমজাদ শেখ জানান তিনি পঞ্চায়েতের কর্মীদের সঙ্গে আলোচনার পর বুঝতে পারেন প্রতারিত হতে চলেছেন।যদিও টাকা পাঠাননি। আমজাদ বলেন,” আর যাতে কারও সাথে এধরনের ঘটনা না ঘটে তাই বিষয়টি বিডিও সাহেবের কাছে জানিয়েছি ।’।