দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১৭ জুলাই : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার রাজুয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী গোলাম মুর্শেদের হেরোইন পাচার চক্রের ২ মণিপুরী সদস্যকে গ্রেফতার করল স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) । ধৃতদের নাম নাম সাজিদ হাসান এবং সমরজিৎ সিং । তাদের বাড়ি যথাক্রমে মণিপুরের লিলং ও মণিপুরের কাকচিং এলাকায় । শনিবার গভীর রাতে কলকাতার দমদম এয়ারপোর্টের কাছে নারায়ণপুরে একটি ফ্ল্যাট থেকে ২ কেজি ২৪০ গ্রাম মরফিনসহ তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গেছে । যে ফ্ল্যাটটি তারা থাকছিল সেটি গোলাম মুর্শেদের ভাই মুজফফর হোসেনের নামে রয়েছে বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারী দল । তবে মুজফফরের কোনো হদিশ পাওয়া যায়নি ।
শুক্রবার গভীর রাতে কাটোয়ার রাজুয়া গ্রামে গোলাম মুর্শেদের বাড়িতে হানা দিয়ে মোট ৯ কেজি ৭০০ গ্রাম মরফিন এবং হয় ৯ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪০০ টাকা উদ্ধার করে এসটিএফ । এরপর বাড়ির মালিক মুর্শেদের পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয় কাটোয়ার আলমপুরের বাসিন্দা মিঠুন শেখ এবং নদিয়ার কালীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আঙুর আলি, মিনারুল শেখকে । তাদের জেরা করে সাজিদ হাসান এবং সমরজিৎ সিং এর হদিশ পায় তদন্তকারী দল ।
প্রাথমিক তদন্তে এসটিএফ জানতে পেরেছে, নিজের প্রাসাদোপম বাড়ির ভিতরে রীতিমতো হেরোইন তৈরির কারখানা খুলে ফেলেছিল গোলাম মুর্শেদ । মরফিন থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হত হেরোইন । বিভিন্ন রাজ্য থেকে মরফিন সংগ্রহের দায়িত্ব ছিল ধৃত সাজিদ ও সমরজিৎ-এর উপর । তারপর হেরোইন তৈরি হলে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে তা পাচার করে দেওয়া হত । কিন্তু এই চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত তা এখনও স্পষ্ট নয় তদন্তকারী দলের কাছে । তবে আধিকারিকরা আশাবাদী খুব শীঘ্রই চক্রের বাকি পান্ডাদের হদিশ পাওয়া যাবে ।
রবিবার ধৃত ৬ জনকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে একদিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয় । সোমবার ফের তাদের বর্ধমানে এনডিপিএস বিশেষ আদালতে তুলে এসটিএফ ৬ জনকেই নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানাবে বলে জানা গেছে ।।