প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৮ জানুয়ারি : যাঁরা সমাজকে ’প্রেরণা’ সরবরাহ করেন তাঁদের কে মাদার টেরিজা সন্মানে পুরস্কৃত করা হয়।ক্রীড়া ক্ষেত্রে তেমনই প্রেরণা প্রদানকারী হিসাবেম “মাদার টেরিজা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড’ এর জন্য মনোনীত হলেন বিশ্ববন্দিতা বাঙালি সাঁতারু সায়নী দাস। আগামী ২৩ জানুয়ারি দেশনায়ক নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম দিবসের দিনে ’মাদার টেরিজা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড কমিটি’ সায়নী দাসকে পুরস্কৃত করবে।এই সংক্রান্ত পত্র ইতিমধ্যেই পৌছে গিয়েছে সায়নীদের পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের বারুইপাড় বাড়িতে।
এই পুরস্কার প্রাপ্তির খবরে যারপরনাই খুশি সায়নী
ও তার বাবা মা। সামাজিক মাধ্যমে এই খবর
ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনরা সায়নীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। ফোন করেও বাংলার বহু মানুষ
ও ক্রীড়া মোদিরা সায়নীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
রটনেষ্ট ও ক্যাটলিনা চ্যানেল জয়ের পর ২০১৭ সায়নী ইংলিশ চ্যানেল জয়ের করেন।২০১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে সায়নীকে “খেলাশ্রী” সন্মানে ভূষিত করা হয় । এরপর ২০২২ সালে মার্কিন মুলুকের মালোকাই চ্যানেল জয় করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বাংলার জলকন্যা সায়নী দাস।শুধু ভারত নয়,এশিয়া মহাদেশের মহিলা সাঁতারু হিসাবেও সায়নী প্রথম মালোকাই চ্যানেল জয়ের নজির সৃষ্টি করেছে। জয়ের পর সেখানেই সায়নী ভারতের জাতীয় পতাকা তুলে ধরেন। তাঁকে নিয়ে তৈরি “জলপরী দ্য নাইয়াড” তথ্যচিত্রটি
কেনিয়া ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সাড়া ফেলে দেয়। এখন সায়নীর একমাত্র লক্ষ সপ্তসিন্ধু জয় । তার জন্য নিজেকে তৈরি করে তুলতে সায়নী কঠোর অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে।
দম্পতি রাধেশ্যাম দাস ও রুপালী দাসের কন্যা সায়নী আজ হয়তো সেলিব্রিটি। কিন্তু সাঁতরে একের পর এক চ্যানেল জয় করার পথটা কিন্তু তাঁর কাছে খুব একটা সুগম ছিল না। ছোট বয়স থেকেই বাবা রাধেশ্যাম দাসের হাত ধরে সাঁতারে হাতে খড়ি হয় সায়নীর।তার পর থেকে কঠিন অনুশীলনের মধ্য দিয়ে সায়নী নিজেকে কার্যত জলকন্যা হিসাবেই গড়ে তোলে ।শুধু শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোই নয়,হাওয়ার গতীবেগ ,জলের স্রোত এবং দীর্ঘ সময় সাঁতার কেটে এগিয়ে চলার যোগ্য হিসাবে নিজেকে তৈরি করেই সায়নী একের পর এক জয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়। এইসবের জন্যই আজ সায়নী দাস সমাজের কাছে প্রেরণা হয়ে উঠতে পেরেছেন।
তারই স্বীকৃতি স্বরুপ এই বছর “মাদার টেরেসা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড”-এর জন্য সাঁতারু সায়নী দাস কে মনোনীত করেছে ’মাদার টেরিজা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড কমিটি’। এই উপলক্ষে তারা আগামী ২৩ শে জানুয়ারী কলকাতার ’সেন্ট জেমস স্কুল অডিটোরিামে’ বিশেষ অনুষ্ঠানের
আয়োজন করেছেন। সেই বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা কলাকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি স্যামল সেন,বাংলাদেশের হাই কমিশনার আন্দালিব এলিয়ায় (Andalib Elias),অ্যাওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যান টি,এইচ,ইরেল্যান্ড (T. H. Ireland) সহ বহু বিশিষ্ঠ জন উপস্থিত থাকবেন। এঁনাদের উপস্থিতিতেই সায়নীকে পুরস্কৃত করবে মাদার টেরিজা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড কমিটি’।।