নিজস্ব প্রতিনিধি,কাটোয়া,১০ মার্চ : কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কট্টর বিরোধী বলে পরিচিত কাটোয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অমর রাম তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদকে পদ থেকে পদত্যাগ করলেন । বুধবার তিনি দলের জেলা সভাপতির কাছে পদত্যগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে খবর । আর এর পরেই তিনি কলকাতায় গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন । তাঁর সঙ্গে কাটোয়া পুরসভার দুই বিদায়ী কাউন্সিলার ভাস্কর মণ্ডল ও শ্যামল ঠাকুরও বিজেপিতে যোগদান করেন ।
অমর রাম ২০১৩ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন । ২০১৫ সালে তৃণমূল কাটোয়া পুরসভা দখল করলে অমর রাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন । রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় তখন কংগ্রেসে ছিলেন । পরে তিনি সদলবলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন । তারপর ২০১৭ সালে কাটোয়া পুরসভায় অমর রামের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয় । তিনি অনাস্থায় অপসারিত হলে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় চেয়ারম্যানের কুর্সিতে বসেন । তারপর থেকে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ও অমর রামের বিবাদ চলে আসছে । এদিকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর কার্যত কোনঠাসা অবস্থায় ছিলেন অমর রাম । এমনকি দলের কর্মসূচিতেও বিশেষ দেখা যেত না অমর রামকে । তবে মাঝে মাঝেই তাঁকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে ।
এদিকে অমর রামের ক্ষোভ প্রশমনের জন্য তাঁকে
কাটোয়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য হিসাবে রাখা হয়েছিল । দেওয়া হয়েছিল দলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদ । কিন্তু তা সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অমর রামের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়নি । শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত কারন দেখিয়ে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফার ইচ্ছা প্রকাশ করে এদিন জেলা সভাপতিকে চিঠি পাঠিয়েছেন অমর বাবু ।
জানা গেছে,তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে ইস্তফাপত্র পাঠানোর পরেই কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন অমর রাম । তাঁর সঙ্গে ছিলেন কাটোয়া পুরসভার দুই বিদায়ী কাউন্সিলার ভাস্কর মণ্ডল ও শ্যামল ঠাকুর । তাঁরা বিজেপির সদর দপ্তরে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান । বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পূর্ব বর্ধমানের শাসকদল নেতৃত্ব ।।