এইদিন ওয়েবডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান,২১ জানুয়ারী : বিজেপির নব্য ও পুরনো কর্মীদের দ্বন্দ্বের জেরে কার্যত রনক্ষেত্রের চেহারা নিল বর্ধমান শহরের ঘোড়দৌড় চটির বিজেপির দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন এলাকা । দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল ইঁটপাটকেল ছোড়াছুড়ি চলে । ভাঙচুর চালানো হয় দলীয় কার্যালয়সহ কয়েকটি বাইকেও । কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে অভিযোগ । এমনকি দলের বিক্ষুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকজনদের হাতে প্রহৃত হন বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলা(নগর) সভাপতি সন্দীপ নন্দী । বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় । খবর পেয়ে পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে ।
এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিজেপির শতাধিক কর্মী ঘোড়দৌড় চটিতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন । তাঁরা মূলত জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীর উপরে ক্ষোভ উগরে দেন । পাশাপাশি বেশ কিছু কার্যকর্তার বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন । পার্টি অফিসে থাকা দলীয় কর্মীদের সঙ্গে জমায়েতকারী কর্মীদের মধ্যে প্রথমে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়ে যায় । তারপরেই একে অপরকে লক্ষ্য করে ইঁট পাটকেল ছুড়তে শুরু করে দেন বিজেপি কর্মীরা । ভাঙ্গচুর চালানো হয় দলীয় কার্যালয়ে । এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে দু পক্ষ থেকেই পুলিশের উপর ইঁটবৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ।এছাড়াও বেশ কয়েকটি বাইক ও একটি চারচাকা গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
দেখুন ভিডিও :
পূর্ব বর্ধমান(নগর) বিজেপির সহ সভাপতি প্রবাল রায়ের দাবি, ‘রাজ্যে বিজেপির জয়যাত্রাকে থামানোর জন্য পিকের টিম ও তৃণমূল বহু টাকা খরচ করছে । আমাদের পার্টি অফিস আমাদের কাছে মন্দিরের মত । যারা কার্যালয় ভাঙচুর করেছে তারা অবশ্যই বিজেপি কর্মী নয় । এর পিছনে প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা রয়েছে ।’
অন্যদিকে বিক্ষোভকারী বিজেপি কর্মী নন্দন সিংহের অভিযোগ, ‘দলের পুরনো কর্মীদের দীর্ঘ দিন ধরে বসিয়ে রাখা হচ্ছে কোনও কাজ দেওয়া হচ্ছে না । তাই এদিন জেলার পর্যবেক্ষক সবর ধনিয়াজী দলীয় কার্যালয়ে এসেছেন শুনে আমরা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলাম । কিন্তু আমাদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি ।’ পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, ‘আমাদের দলের জেলা সভাপতি তৃণমূলের দালাল । তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে পদের রফা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন । দলের পুরনো কর্মীদের কোন প্রোগ্রাম করতে দিচ্ছেন না । প্রোগ্রাম করলে আমাদের তৃণমূলের লোক বলে তকমা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে । তাই এই সমস্যার সমাধানের উদ্দেশ্যে এদিন ধনিয়াজীর সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলাম । কিন্তু আমাদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি । আমাদের দাবি জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীকে অপসারিত করে যোগ্য কোনও ব্যক্তিকে জেলা সভাপতির পদে বসানো হোক ।’।