এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২৭ এপ্রিল : শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের এক মুক বধির এক বধূর ঝুলন্ত দেহ । ভাতার থানার চণ্ডীপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে শুক্রবার রাতে টুকু সাঁতরা (৪০) নামে ওই বধুকে স্থানীয় বাসিন্দারা ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভাতার ব্লক হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন । পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহটি ভাতার থানায় নিয়ে আসে । আজ শনিবার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় । মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের নির্যাতনের কারণেই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন টুকুদেবী । যদিও আজ বিকেল পর্যন্ত এনিয়ে থানায় নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানা গেছে । একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
জানা গেছে,বছর ২৪ আগে চণ্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা রতন সাঁতরার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ভাতারের নওয়াদা গ্রামের মেয়ে টুকু সাঁতরার । টুকুদেবী মুক ও বধির জেনেও এই সম্পর্ক করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন মৃতার দাদা সুন্দর সাঁতরা । তার অভিযোগ, বোনের শ্বশুরবাড়ির দাবি মত বোনের নামে এক বিঘা জমি, সোনার গহনা ও নগদ টাকা দেওয়া হয়েছিল।তার পরেও প্রতিবন্ধী হওয়ার কারনে শ্বশুরবাড়িতে আমার বোন মানসিক নির্যাতনের শিকার হত ।’ তিনি জানিয়েছেন যে বোনের নামে জমিটি জোর করে বিক্রি করে দিয়েছিল তার স্বামী । বিষয়টি তার বোন মেনে ন্স নেওয়ায় অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায় । সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই তার বোন আত্মঘাতী হয়েছে বলে দাবি করেছেন সুন্দর সাঁতরা ।
জানা গেছে,মৃতার দুই মেয়ে ও এক ছেলে আছে । মায়ের মৃত্যুর পর কার্যত অসহায় হয়ে পড়েছে ওই তিন নাবালক কিশোর কিশোরী ।।