এইদিন ওয়েবডেস্ক,নাইজেরিয়া,১৬ জুন : ইসলামি ফুলানি জঙ্গিরা নাইজেরিয়ার মালভূমি রাজ্যে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে থেকে এযাবৎ ৩০০ জনেরও বেশি খ্রিস্টানকে হত্যা করেছে, যার মধ্যে দুজন পাদ্রী রয়েছেন । সাম্প্রতিক হামলায় ইসলামিক চরমপন্থীরা ৩০,০০০ খ্রিস্টানকে বাস্তুচ্যুত করেছে, ২,০০০ বাড়িঘর ও ২৮ টি চার্চ ধ্বংস করেছে বলে ইন্টারন্যাশনাল খ্রিস্টান কনসার্নের প্রতিবেদনে জানা গেছে ।
নাইজেরিয়ার খ্রিস্টান জনগোষ্ঠী ২০১০-এর দশকে বোকো হারামের বিদ্রোহের পর থেকে ক্রমবর্ধমান ইসলামি সন্ত্রাসবাদের শিকার । ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রদেশ (ISWAP) নামে সন্ত্রাসী সংগঠনটি প্রাথমিকভাবে উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়ায় কাজ করে, যখন ফুলানি জঙ্গিরা মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চল জুড়ে নাশকতা চালিয়ে আসছে । ইউকে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ ফর ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিডম অফ রিলিজিয়ন অর বিলিফ (এপিপিজি) এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ফুলানি জঙ্গিরা বোকো হারাম এবং আইএসডব্লিউএপি-এর সাথে মিলিত হয়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় স্থানগুলিকে মূলত টার্গেট করে আসছে ।
ওপেন ডোরস ২০২৩ ওয়ার্ল্ড ওয়াচ লিস্ট রিপোর্ট অনুসারে,২০২২ সালে বিশ্বের মধ্যে নাইজেরিয়া খ্রিস্টানদের হত্যা, লাঞ্ছিত বা নির্যাতিত সংখ্যায় প্রথম এবং খ্রিস্টানদের বাস্তুচ্যুত এবং গীর্জা আক্রমণের সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে । প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে ২০২২ সালে দেশের দক্ষিণে খ্রিস্টান-সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে এবং নাইজেরিয়ার সরকার এটিকে ধর্মীয় নিপীড়ন বলে অস্বীকার করে চলেছে । ইন্টারন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান কনসার্ন (আইসিসি) এর আগে ২০২৩ এবং ২০২২ সালে ফুলানি জঙ্গিদের দ্বারা সংঘটিত অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে রিপোর্ট করেছে ।।