নিজস্ব প্রতিনিধি,কালনা,১৪ ডিসেম্বর : নাদনঘাট থানার কর্তব্যরত এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট থানা এলাকায়।মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম সৌমেন বাগ।তার বাড়ি সমুদ্রগড় পঞ্চায়েতের নীচু চম্পাহাটি এলাকায়। সোমবার সকালে নাদনঘাট মোড়ে একটি ব্যাঙ্ক শাখার পিছনের জায়গা থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। কী করে এই ঘটনা ঘটলো তা ভেবে কুলকিনারা করতে পারছেন না পরিবারের লোকেরা।পরিবারের দাবি তাদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে।এই বিষয়ে মৃতের বাবা গোবিন্দ দাস জানান,‘সকলের সঙ্গেই আমার ছোটো ছেলে ভীষণ আনন্দের মধ্যে থাকে।আমার ছেলে এই ধরনের ঘটনা ঘটাতেই পারে না।ছেলে ডিউটিতে গিয়েছিলো।সকালে বাড়ি ফেরেনি।তারপর আমার বড়ো ছেলেকে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে সব জানানো হয়।আমার ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে বলেই মনে করছি।এই রহস্যজনক মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবি জানা যাবে ।
অন্যদিকে নাদনঘাটে আরো এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।সোমবার সকালে নাদনঘাট থানা এলাকার মাধাইপুর বড় সর্দারপাড়া মোড়ের কাছে রাস্তার ধারের ঝোপ থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।পরে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়।এইদিকে এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।স্থানীয়রা জানিয়েছেন,আনুমানিক চল্লিশ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির দেহে গভীর ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।তা থেকে তাদের অনুমান ওই ব্যক্তিকে খুন করে কেউ বা কারা ঝোপের মধ্যে ফেলে দিয়ে পালিয়ে গেছে। পুলিশ জানিয়েছে,ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে ।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সুত্রে খবর,এদিন সকাল ৬ টা নাগাদ মাধাইতলা গ্রামের এক টোটো চালক টোটো নিয়ে স্টেশনে যাচ্ছিলেন।তিনি মাধাইতলার বড়সর্দারপাড়া মোড়ের কাছে আসতেই ঝোপের মধ্যে হাফ হাতা গেঞ্জি ও নীল জিন্সের প্যান্ট পড়া ওই ব্যক্তির দেহটি উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন।এই বিষয়ে স্থানীয় প্রধান সুভাষ ঘোষ বলেন,স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় নাদনঘাট থানার পুলিশ।পরে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।পুলিশ ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করছে ।