এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,৩০ নভেম্বর : মমতা ব্যানার্জির ক্যাবিনেটের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতন নিয়ে প্রচারকে “বাড়াবাড়ি হচ্ছে” বলে মন্তব্য করেছিলেন । শুধু তাইই নয়,বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতন নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের কড়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় ‘ইউনুস সাহেবও ভালো উত্তর দিয়েছেন’ বলে মন্তব্য করেছিলেন সিদ্দিকুল্লা । এবারে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের উলটো মতামত দিয়ে মমতা ক্যাবিনেটের আর এক মন্ত্রী তথা কলকাতার পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম । একদিন আগে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসকে বার্তা দিয়েছিলেন, ‘চিকিৎসা করাতে লাহোর- করাচিতে যান, একদম ভারতে আসবেন না ।’ যদিও ফিরহাদ হাকিম বাংলাদেশিদের জিহাদিদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে কোনো অসুবিধা নেই বলে মনে করছেন ।
আসলে হিন্দু নির্যাতনের আবহে বাংলাদেশ জুড়ে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা করছে সেদেশের জিহাদিরা । কলেজের গেটের সামনে ভারতের জাতীয় পতাকা এঁকে ইচ্ছাকৃত ভাবে সেই ছবির উপর দিয়ে পা মাড়িয়ে গিয়ে পতাকার অবমাননা করছে তারা৷ এনিয়ে গোটা ভারত জুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । তারই প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতাল মানিকতলার জেএন রায় হাসপাতাল। এই বিষয়ে ফিরহাদ হাকিমের কাছে সাংবাদিকরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন,’বাংলাদেশের কোনও মানুষ অসুস্থ হলে তাকে সুস্থ করব না? চিকিৎসক বা চিকিৎসা কেন্দ্রের ধর্ম তাকে সুস্থ করা।’ তবে তিনি বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতনের বিষয়ে তার ‘প্রবল আপত্তি আছে’ বলেও জানান৷
বাংলাদেশে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা নিয়ে সম্প্রতি ওই হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ তথা বন্ধ্যত্বরোগ বিশেষজ্ঞ ইন্দ্রনীল সাহা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে চেম্বারে বাংলাদেশের রোগী দেখা আপাতত বন্ধ রাখছি। আগে দেশ, পরে রোজগার। আশা রাখব দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক না হওয়া অবধি অন্যরাও একই পদক্ষেপ নেবেন করবেন।’ যদিও হাকিম জানান,
যেকোনো বেসরকারি হাসপাতাল বাংলাদেশিকে চিকিৎসা পরিষেবা নাও দিতে পারে৷ তবে কোনো হাসপাতাল এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা নেই বলে তিনি জানান । তবে ভারত এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশিদের চিকিৎসা ভিসা চালু রেখেছে এবং পণ্য সরবরাও চলছে ।।