অভিষেক চৌধুরী,কালনা,১০ ফেব্রুয়ারী : হাত-পা ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে যাওয়া দিনমজুর এক ব্যক্তির স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের উপকারিতা মিললো হাতেনাতে।মন্তেশ্বরের বাড়ি থেকে শয্যাশায়ী অবস্থায় দিলীপ দাস নামে ওই রোগীকে তুলে নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরী করে বিনামূল্যে তার অপারেশনের ব্যবস্থা করে দিলেন পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর পঞ্চায়েতের ও তৃণমূলের বেশ কয়েকজন কর্মী।এই ধরনের পরিষেবা পেয়ে স্বাভাবিক কারণেই খুশি ওই রোগী ও তার পরিবার।
স্থানীয় ও ওই রোগীর পরিবারসূত্রে জানা যায় যে,গত ২১ শে জানুয়ারী দিলীপ দাস নামে ওই দিনমজুর ব্যক্তি নিজের মাটির ঘরের খড়ের চাল মেরামত করার জন্য মই বেয়ে উপরে উঠতেই তিনি নিচে পড়ে যান।এরপরেই তার বাঁ হাত বাঁ পা ভেঙ্গে যায়।শুধু তাই নয় তার চোট এতটাই মারাত্মক ছিলো যে শেষ পর্যন্ত তার পায়ে অস্ত্রোপ্রচার পর্যন্ত করতে হয়।ঘটনার পর ওই দিনমজুর ব্যক্তি স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করানোর পর বাড়িতে দু-দিন শয্যাশায়ী অবস্থায় পড়ে ছিলেন।কারণ এমতাবস্থায় প্রচুর টাকা ব্যয় করে অপারেশন করার সামর্থ্যও ছিলো না অঙ্গনওয়াড়ীর কর্মী স্ত্রী তারামণি দাসের।স্বাভাবিক কারণেই তিনিও বেশ চিন্তায় পড়েন।এরপরেই মন্তেশ্বর পন্চায়েতের বেশ কয়েকজন কর্মী ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা জগন্নাথ ঘোষ,সুজিৎ ভট্টাচার্য ও উপপ্রধান রফিকুল ইসলামের কাছে এই খবর পৌঁছায়।সঙ্গে সঙ্গেই তারা তৎপর হয়ে ওই ব্যক্তিকে বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন।এরপরেই তারা জেলাশাসকের দপ্তরে যোগাযোগ করে ওই পরিবারের স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড তৈরী করে তাদের হাতে তুলে দিতেই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পান।এরপরেই তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হওয়ার পর বুধবার মন্তেশ্বরের পন্চায়েতে আসেন ও তাদের ধন্যবাদ জানান।এই বিষয়ে অসুস্থ দিলীপ দাসের স্ত্রী তারামণি দাস বলেন,‘মাসের শেষে মাত্র হাতে গোনা কিছু টাকা পাই।কোনোরকমে সংসারটা চালাই।স্বামীর এত বড়ো দুর্ঘটনার পর কি করে তাকে সুস্থ করে তুলবো কুলকিনারা করতে পারছিলাম না।এরপর তৃণমূলের কর্মী ও পন্চায়েতের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করে দেওয়ায় স্বামীর এত বড়ো অপারেশণ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হয়েছে।এই জন্য ওনাদের ও মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’এই বিষয়ে উপপ্রধান রফিকুল ইসলাম ও তৃণমূল কর্মী সুজিৎ ভট্টাচার্য ও জগন্নাথ ঘোষরা বলেন,‘আমরা খবর পেয়েই শয্যাশায়ী ওই রোগীকে বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করে দিই।তারপরেই তড়িঘড়ি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য জেলাশাসকের দপ্তরে যোগাযোগ করি।দ্রুততার সাথে কার্ডও হাতে পায় ওই পরিবার।যে অপারেশণে প্রচুর টাকা ব্যয় হোতো তা পুরো বিনামূল্যে হয়ে যায়।নতুন জীবন পায় ওই ব্যক্তি।’।