এইদিন ওয়েবডেস্ক, আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান), ১৪ ফ্রেবুয়ারি: কর্মজীবন থেকে তিনি অবসর নিয়েছেন ১৭ বছর আগেই। তবুও বছরের একটি দিনের জন্যও তার অবসর নেই। ছাত্রছাত্রীদের জন্য নিজের জীবনের সিংহভাগ সময় তিনি ব্যয় করে চলেছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের রামনগর গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুজিত চট্টোপাধ্যায় বিনাবেতনে তিনশতাধিক ছাত্রছাত্রীদের টিউশন পড়ান। তার সামাজিক অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে তাকে দেওয়া হয়েছে পদ্মশ্রী পুরস্কার। পেনশনের জমানো টাকা থেকে রবিবার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ১০ শিশুর পরিবারের হাতে তুলে দিলেন ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য তুলে দিলেন সুজিতবাবু।
রামনগর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক সুজিত চট্টোপাধ্যায়। ২০০৪ সালে রামনগর উচ্চবিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহন করেছিলেন।কিন্তু প্রকৃত অর্থে শিক্ষকতা ছাড়েননি তিনি। অবসরগ্রহনের পর থেকে বিনাবেতনে টিউশন পড়ান।সেজন্য খুলেছেন ‘সদাই ফকিরের পাঠশালা’ ।এই পাঠশালায় প্রায় ৩৫০ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। তবে ছাত্র ছাত্রীদের পড়ানোর জন্য নেন বছরে গুরুদক্ষিনা হিসাবে ২ টাকা।কারন গুরুদক্ষিণা ছাড়া গুরুর শিক্ষা সম্পূর্ণ হয় না।এই সংস্কার মেনেই ওই কিঞ্চিৎ দক্ষিণা গ্রহণ করেন তিনি। জানা যায় ‘সদাই ফকিরের পাঠশালার পড়ুয়ারা সবাই ১০০ টাকা করে তাদের মাস্টারমশাইয়ের হাতে তুলে দেন। বাকি টাকা সুজিতবাবু দিয়েছেন নিজের পেনশন থেকে। আনুষ্ঠানিকভাবে ১০ জন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই আর্থিক সাহায্য। গতবছরেও এভাবে সাহায্য করেছিলেন তিনি। এদিন সুজিতবাবু অনুষ্ঠানমঞ্চে ঘোষণা করেন তিনি দুস্থ পরিবারের ৫ জন পড়ুয়ার পড়াশোনার দায়িত্ব নেবেন ।।