এইদিন ওয়েবডেস্ক,নদীয়া,১৫ এপ্রিল : হাঁসখালির নির্যাতিতা ১৪ বছরের কিশোরীকে জীবন্ত পোড়ানো হয়েছিল বলে সন্দেহ প্রকাশ বিজেপির ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ দলের প্রতিনিধিরা । শুক্রবার ইংরেজবাজার এর বিজেপি বিধায়িকা শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলটি প্রথমে নিহত কিশোরীর বাড়িতে যায় । তাঁরা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন । পরে যে শ্মশানে ওই কিশোরীকে দাহ করা হয়েছিল সেখানে গিয়েও খতিয়ে দেখেন তাঁরা । কথা বলেন মূল অভিযুক্তর প্রতিবেশীদের সঙ্গেও । শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী বলেন,’যখন আমি নির্যাতিতার মাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম অভিযুক্তরা যখন তাঁর মেয়েকে শ্মশানে নিয়ে যাচ্ছিল তখন কি সে জীবিত ছিল ? এই প্রশ্ন শুনে উনি মাটিতে পড়ে যান ।’
শ্রীরূপাদেবী বলেন, ‘যেটা জানতে পারা যাচ্ছে,নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর শতাধিক মানুষ তাদের বাড়ি ঘিরে রেখেছিল । মেয়েটিকে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে শ্মশানে নিয়ে গিয়ে দাহ করে দেওয়া হয় । আর এই কারনেই সন্দেহের সৃষ্টি হচ্ছে,মেয়েটিকে কি ওরা জ্যান্ত পুড়িয়েছিল ?’
নিহত কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ,গত ৪ এপ্রিল গণধর্ষণের পর ময়নাতদন্ত এবং মৃত্যু শংসাপত্র ছাড়াই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাড়াহুড়ো করে দাহ করে দেয় কিশোরীকে । হাঁসখালি থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন,শেষকৃত্য করার আগে কোনও ডাক্তার নির্যাতিতা কিশোরীকে পরীক্ষা করেননি, কোনও পোস্টমর্টেম করা হয়নি, কোনও মৃত্যু শংসাপত্রও ছিল না অভিযুক্তদের কাছে । দেহটি পোড়ানো হয় একটি অননুমোদিত শ্মশানে । আর তার ফলেই প্রশ্ন উঠছে, ওই ছোট্ট মেয়েটি কি তৃণমূল নেতার সাঙ্গপাঙ্গদের দ্বারা আদিম নৃশংসতার শিকার হয়েছে ? বিজেপি বিধায়িকা শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী জানিয়েছেন, তিনি সবিস্তার রিপোর্ট দলীয় সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে জমা দেবেন ।।