আমিরুল ইসলাম,ভাতাড়,১৪ ফেব্রুয়ারী : ভাতাড়ের মুরাতিপুর গ্রামের বাসিন্দা চাঁদনেহার খাতুন নামে এক বিধবা মহিলার বাড়ি থেকে ১১ লক্ষ টাকা চুরি যাওয়ার পর মহিলার প্রতিবেশী শেখ হাসমত আলীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ । সেই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছিল ৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকা । বাকি টাকা উদ্ধার ও এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা জানতে ধৃতকে আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় পুলিশ । বিচারক ধৃতকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে । এরপর ধৃত হাসমতকে জেরা করে বাকি ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করল পুলিশ । এদিকে হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় রবিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয় ।
ভাতারের মুরাতিপুর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী চাঁদনেহার খাতুনের ছোট মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে । তাই গহনা কেনা ও অনান্য খরচ খরচার জন্য একটি জমি বিক্রি করতে হয় ওই মহিলাকে । জমির মূল্য বাবদ তিনি সাড়ে ১৩ লক্ষ পান । ওই টাকা দুটি ভাগে ভাগ করে বাড়িতে দুই পৃথক জায়গায় রেখে দেন । তার মধ্যে ১১ লক্ষ টাকা আলমারিতে একটি সুটকেসের মধ্যে তিনি রেখে দিয়েছিলেন । তারপর দিদির মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে বর্ধমানে চলা যান চাঁদনেহার খাতুন । গত সোমবার তিনি বাড়ি ফেরেন ।
কিন্তু বাড়ি এসে তিনি দেখতে পান চাবির গোছা ফ্রিজের উপর রাখা রয়েছে । সমস্ত তালা অক্ষত । অথচ আলমারি থেকে ১১ লক্ষ টাকা চুরি হয়ে গেছে । এরপর ওই দিন রাতেই ভাতাড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা । মহিলা পুলিশের কাছে সন্দেহ প্রকাশ করেন তাঁর পরিচিতদের মধ্যে কেউ এই কাজ করেছে ৷
মহিলার কাছে সমস্ত বিবরন শোনার পর পুলিশের নজর পড়ে চাঁদনেহার খাতুনের প্রতিবেশী শেখ হাসমত আলীর উপর । কারন ওই মহিলার বাড়িতে নিয়মিত যাতায়ত ছিল হাসমতের ৷ সে জমি বিক্রির টাকার বিষয়ে সব জানতো বলে জানিয়েছে পুলিশ । পুলিশ হাসমতকে গ্রেফতার করতেই তাঁর কাছ থেকে চুরি যাওয়া টাকার মধ্যে ৬ লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার হয় । এরপর ধৃতকে আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর জেরা বাকি চার লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ । এদিকে টাকা চুরি যাওয়ার পর চাঁদনেহার খাতুনের মেয়ের বিয়ে কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল । এই অবস্থায় চুরি যাওয়া সমস্ত টাকা উদ্ধার হওয়ায় স্বস্তিতে ওই মহিলা । টাকা ফেরত পেয়ে তিনি ভাতাড় থানার পুলিশকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ।।