এইদিন ওয়েবডেস্ক,বরিশাল,১০ অক্টোবর : শেখ হাসিনাকে অনৈতিকভাবে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে মহম্মদ ইউনূসের শাসন ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পর থেকেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামি চরমপন্থী দলগুলি । সেই লক্ষ্যে তারা “লাভ জিহাদ” কে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে । এই পরিকল্পিত ইসলামি ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে হিন্দু কিশোরী, তরুনী থেকে শুরু করে এমনকি অল্প বয়সী বধূরা পর্যন্ত ধর্মান্তরিত ও নিকাহ করছে । ফলে এক একটা হিন্দু পরিবার বরবাদ হয়ে যাচ্ছে । ফের এমনই একটা ঘটনার খবর পাওয়া গেছে বাংলাদেশের বরিশাল জেলার উজিরপুরে । দুই সন্তানের জননী মনিকা রানী দাস একই এলাকার বিবাহিত মুসলিম ব্যক্তি মিজানুর রহমানের প্রেমের ফাঁদে পড়ে স্বামী ও সন্তানদের ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ ও নিকাহ করেছেন বলে জানা গেছে । ধর্ম পরিবর্তনের পর তার নাম রাখা হয়েছে ইশরাত জাহান মনি। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় ৷
জানা গেছে,বছর সাতেক আগে অমরেশ চন্দ্র দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় মনিকার । তাদের ৫ ও ৩ বছরের দুই সন্তানও রয়েছে । সুখের সংসার ছিল তাদের । কিন্তু যৌন আকাঙ্খার টানে একই এলাকার বিবাহিত মুসলিম ব্যক্তি মিজানুর রহমানের প্রেমের ফাঁদে পড়ে যান ওই মহিলা । স্বামীর অনুপস্থিতিতে এবং নাবালক সন্তানদের সামনেই প্রেমিকের সঙ্গে উদ্দাম যৌনতা চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি । এদিকে সেই অশ্লীল ভিডিও নিজের স্মার্টফোনে রেকর্ড করে রেখে মনিকাকে তা দেখিয়ে মনিকাকে ধর্মান্তরিত ও নিকাহ করার জন্য ব্লাকমেল শুরু করে দেয় মিজানুর৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্মান্তরিত ও নিকাহ করতে সক্ষমও হয় ।
এদিকে স্ত্রী লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়ে যাওয়ায় দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে দিশেহারা অবস্থা অমরেশ চন্দ্র দাসের৷ তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ কিন্তু অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই মিজানুর রহমান ও তার সহযোগীরা প্রতিনিয়ত তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অমরেশের দাবি, থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরও পুলিশ এখন পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, বরং হুমকি আরও বেড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার(৯ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল নগরীর সিএন্ডবি রোডের একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভুক্তভোগী অমরেশ চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমার স্ত্রী মনিকাকে পরিকল্পিতভাবে প্রলোভনে ফেলে নিয়ে গেছে তারা। আমি থানায় অভিযোগ করার পর থেকে প্রতিনিয়ত হুমকি পাচ্ছি। আমার সন্তানদের জীবনও এখন ঝুঁকির মধ্যে। থানায় করা অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে আমাকে ও আমার সন্তানদের মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে মিজানুর ও তার সহযোগিরা।’ অমরেশ আরও বলেন,’আমি প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানাই— আমার স্ত্রীর নিরাপত্তা ও আমার পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হোক। আমি চাই এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক এবং যারা আমার সংসার ভেঙে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
স্থানীয় হিন্দু সমাজের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, এটি কোনো সাধারণ প্রেমের ঘটনা নয়, বরং এটি একটি পরিকল্পিত লাভ জিহাদের অংশ। তারা অভিযোগ করেছেন, মুসলিম যুবকরা কৌশলে হিন্দু মেয়েদের টার্গেট করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তরিত করছে, অথচ প্রশাসন এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে।উজিরপুর মডেল থানার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অমরেশ চন্দ্রের অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেফতার বা আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে স্বীকার করেছেন তিনি।।

