এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,২৭ জুলাই : চুড়ান্ত নৈরাজ্য চালাচ্ছে বাংলাদেশের ইসলামি মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি । এবারে দলের এক জঙ্গি থানা থেকে অস্ত্র লুট করে পালাতে গিয়ে পুকুরে ডুবে মারা যাওয়ায় খোদ থানার ওসির ফাঁসির দাবি তুললো জামাত ইসলামি। বাংলাদেশের গাইবান্ধার সাঘাটা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলমসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে ওই ইসলামি কট্টরপন্থী গোষ্ঠীটি বিক্ষোভ, মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ এবং পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাওসহ একের পর এক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে ।
জানা গেছে,বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাঘাটা থানা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র লুট করে পালাচ্ছিল সিজু মিঁয়া নামে এক জামাত ইসলামি জঙ্গি । পুলিশ পিছু ধাওয়া করলে ওই জঙ্গি পুকুরের জলে তলিয়ে যায় ৷ পরে তার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ । তারপর থেকেই ওসির সর্বোচ্চ শাস্তি ও বাকি পুলিশকর্মীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে তোলপাড় শুরু করে জামাতের জঙ্গি নেতা কর্মীরা ৷ যা আজ রবিবারও অব্যাহত ছিল । আজ সকালে জামাতের শাখা সংগঠন সাঘাটায় সাঘাটার সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে বোনারপাড়া উপজেলা চত্তর এলাকায় প্রতিবাদ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেয় সাঘাটা ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক এনামুল হক সরকার, যুবদল নেতা ইখতিয়ার আহম্মেদ সুজন, ছাত্রশিবির থানা সভাপতি সাজেদুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন সাঘাটা থানা শাখার সেক্রেটারি সুরুজ্জান, সচেতন নাগরিক কমিটির গোলাম রাব্বি প্রমুখ।
জঙ্গিদের নেতাদের বক্তব্য,’সিজু মিঁয়া যদি অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে থাকে, তাহলে তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেত। কিন্তু পুলিশ তা না করে উল্টো তাকে পুকুরে নামার পরও নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই ।’ তাদের দাবি,’সেখানে পুলিশ ও স্থানীয় কিছু ব্যক্তি জলে পড়ে যাওয়া সিজুকে বেধড়ক মারধর করেন। গুরুতর আঘাতে ঘটনাস্থলেই জলে ডুবে তার মৃত্যু হয়। এরপর সারা রাত তাকে জল থেকে উদ্ধার না করে সাঘাটা থানা পুলিশ শুক্রবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহযোগিতায় পুকুর থেকে সিজুর লাশ উদ্ধার করে। সে সময়ও নিহত সিজু মিয়ার শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল। খবর পেয়ে মৃতের পরিবার সাঘাটা থানায় পৌঁছান। এরপর সাংবাদিকদের কাছে তারা পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তোলেন।’
তবে পুলিশের দাবি ওই জঙ্গি যে পুকুরের জলে ডুবে আত্মগোপন করে আছে তারা সেটা বুঝতে পারেনি । সে চম্পট দিয়েছে মনে করে পুলিশকর্মীরা থানায় ফিরে আসে৷ পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে আনে । যদিও পুলিশের এই যুক্তি মানতে রাজি নয় জামাত ইসলামি ।।