এইদিন ওয়েবডেস্ক,শরীয়তপুর(বাংলাদেশ),১৯ ফেব্রুয়ারী : বিয়েতে নিমন্ত্রণ না করায় তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের শরীয়তপুরে ৷ অস্ত্রের কোপ ও বোমার আঘাতে আহত হয়েছে দুই পক্ষের অন্তত ৮ জন ৷ আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কাজিকান্দি এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে রয়েছে বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান কাজী (৫০), মনোয়ার কাজী (৩২), প্রাক্তন ইউপি সদস্য বোরহান কাজী (৫০), আজিজুল সরদার (৫০), সামসুল হক সরদারের (৬০) প্রমুখ ।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কাজিকান্দি এলাকার ইমামুল হক সরদার ও আজিজুল সরদার সহদর ভাই। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ইমামুল হক সরদারের (এনামুল) মেয়ের বিয়ে হয়। সেই বিয়েতে তিনি তাঁর ভাই আজিজুল সরদারের পরিবারকে নিমন্ত্রণ করেননি। আজিজুল সরদারের ছেলের বিয়ে আছে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি। এই বিয়েতে এনামুল সরদারের পরিবারকেও নিমন্ত্রণ করা হয়নি । অভিযোগ উঠেছে, এ নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এনামুল সরদারের লোকজন আজিজুল সরদারের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। দুই পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে সম্মুখ সমরে দাঁড়িয়ে গেলে তুমুল সংঘর্ষ বেধে যায় । চলে বোমাবাজি । মুহুর্তের মধ্যে রনক্ষেত্রের চেহেরা নেয় গোটা এলাকা । সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
আজিজুল সরদারের পক্ষের লোক স্থানীয় ইউপি সদস্য আহত আব্দুর রহমান কাজী বলেন, ‘এনামুল তাঁর মেয়ের বিয়েতে আমাদের দাওয়াত দেয়নি। তাদের আমরা দাওয়াত দিব, তবুও তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এনামুল সরদার, খলিল মাদবরের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন লোক আমাদের বাড়িতে এসে হামলা চালায় এবং আমাদের ৫ জনকে কুপিয়ে-পিটিয়ে আহত করে।’ তবে এনামুল সরদারের পক্ষে তাঁর ভাই আহত সামসুল হক সরদার বলেন, ‘এই ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গেলে আমার ওপর হামলা চালনো হয়। আমার মাথায় ও হাতে জখম হয়েছে। ওই হামলায় আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’ শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। যেহেতু পারিবারিক ঘটনা, তাই দুই পক্ষই থানায় এসেছেন।’।
