এইদিন স্পোর্টস নিউজ,১১ ফেব্রুয়ারী : দুর্নীতির দায়ে বাংলাদেশের এক নারী ক্রিকেটারকে ৫ পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করল আইসিসি । আর ওই ক্রিকেটার হলেন সোহেলি আক্তার । আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আইসিসি একটি প্রেস রিলিজে তাকে নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে । তার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শুরু হয়েছে চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারী থেকে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে,আইসিসির দুর্নীতি দমন কোডের পাঁচটি বিধান লঙ্ঘন করেছেন সোহেলি আক্তার। যে কারণে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশের এই নারী ক্রিকেটার। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়ের । ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীন সময় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল। সে সময় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের কোনও এক ক্রিকেটারকে স্মার্টফোনে ফিক্সিংয়ের বার্তা পাঠান । তখন বড় অঙ্কের লোভও দেখানো হয় তাকে। তবে ওই ক্রিকেটার আইসিসির দুর্নীতি কমিশনকে সে কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন ।
আইসিসির অ্যান্টি করাপশনের বিধি লঙ্ঘনের কথা স্বীকার করেছেন সোহেলি। ২.১.১ ধারায় ম্যাচ ফিক্সিং বা যেকোনও উপায়ে খেলার ফলাফল, অগ্রগতি, আচরণ বা অন্যান্য দিক অনৈতিকভাবে প্রভাবিত করা বা এর সঙ্গে জড়িত থাকা, যার মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ পারফরম্যান্স করাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই ধারা লঙ্ঘনে আছে, ম্যাচ ফিক্সিং বা বাজি সংক্রান্ত উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট কোনও ঘটনা ঘটানোর জন্য ঘুষ বা অন্য কোনও পুরস্কার গ্রহণে সম্মতি প্রদান কিংবা গ্রহণের চেষ্টা করা।
২.১. ৪ ধারায় বলা হয়েছে, অন্য কোনও অংশগ্রহণকারীকে ওপরের যে কোনও বিধান লঙ্ঘনের জন্য প্ররোচিত করা বা উৎসাহিত করা। এছাড়া নির্দেশনা প্রদান করা বা কোনোভাবে সহায়তা করা। ২.৪. ৪ অ্যান্টি করাপশ ইউনিটকে বিলম্ব না করে দুর্নীতির জন্য করা কোনও প্রস্তাব বা আমন্ত্রণের সম্পূর্ণ তথ্য জানাতে ব্যর্থ হওয়া। ২.৪. ৭ ধারায় বলা হয়েছে, অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে তদন্তে বাধা সৃষ্টি করা বা বিলম্ব করা, যার মধ্যে প্রাসঙ্গিক নথিপত্র বা অন্যান্য তথ্য গোপন করা, বিকৃত করা বা ধ্বংস করাও অন্তর্ভুক্ত। দুই বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের এক নারী ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন সোহেলি। তিনি তখন ছিলেন দলের বাইরে। তবে দুজনের কথোপকনের অডিও ফাঁস হয়ে যায়। সেখানে জানা যায়, জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটার সোহেলি আক্তার বিশ্বকাপ দলের এক সদস্যকে নিয়মবহির্ভূত প্রস্তাব দেন। কিন্তু সেই ক্রিকেটার ওই প্রস্তাবে রাজি হননি।
জাতীয় দলে থাকা সেই ক্রিকেটার ঘটনাটি দ্রুত টিম ম্যানেজমেন্টকে জানান। টিম ম্যানেজমেন্ট পরে বিষয়টি বিসিবিকে জানায়। বিষয়টি দ্রুত আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের (এসিইউ) নজরেও আনা হয়। নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি দুই বছর তদন্ত করেছে এসিইউ। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সোহেলিকে পাঁচ বছরের নিষিদ্ধ করে আইসিসি। উল্লেখ্য,বাংলাদেশের হয়ে সব মিলিয়ে দুটি টি-টোয়েন্টি ও ১৩টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন সোহেলি আক্তার। সবশেষ জাতীয় দলের হয়ে তিনি খেলেছেন ২০২২ সালে।।