এইদিন ওয়েবডেস্ক,ওয়াশিংটন,২৯ জানুয়ারী : রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প আজ বুধবার এমন একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন যাতে আইন লঙ্ঘনকারী ইহুদি-বিরোধী ও হামাসপন্থীদের তাড়াতে তাদের চিহ্নিত করার জন্য সমস্ত ফেডারেল এজেন্সিগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । আদেশ দেওয়া হয়েছে যে এজেন্সি এবং বিভাগকে ৬০ দিনের মধ্যে সুপারিশগুলি হোয়াইট হাউসকে সরবরাহ করতে হবে এবং বিচার বিভাগের জন্য হামাস-পন্থী গ্রাফিতি এবং ভয় দেখানোর জন্য কলেজ ক্যাম্পাসে তদন্ত করার পরিকল্পনার রূপরেখা দিতে হবে। নির্বাহী আদেশে আবাসিক ছদ্মবেশীদের নির্বাসনের আহ্বান জানানো হয়েছে – ভিসাধারী ছাত্র সহ – যারা ২০২৩ সালের অক্টোবর, ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলার পর ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভের অংশ হিসাবে আইন ভঙ্গ করেছিল, যা গাজা আক্রমণের সূত্রপাত করেছিল ।
ট্রাম্প, একজন প্রার্থী হিসাবে, ভিসায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা হামাসপন্থী ছাত্রদের নির্বাসনের আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং গত সপ্তাহে একটি ভিন্ন নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন যা সেই লক্ষ্যের দিকে পদক্ষেপের ইঙ্গিত বলে মনে হয়েছিল ।
এদিকে আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) নিউইয়র্ক টাইমস এর খবর, অবৈধ অভিবাসী ধরতে নিউইয়র্কে অভিযান, ১ বাংলাদেশিসহ বহু গ্রেপ্তার হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি অধ্যুষিত অঙ্গরাজ্য নিউইয়র্কের নথিবিহীন অভিবাসীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে নিউইয়র্ক পুলিশসহ বিভিন্ন ফেডারেল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেই অভিযানে এক বাংলাদেশীসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩০ জনেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীকে। গ্রেপ্তাররা সবাই অঙ্গরাজ্যের প্রধান শহর নিউইয়র্ক সিটির বাসিন্দা। ধৃতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন বলে জানা গেছে। তার নাম সিব্বির আহমেদ।নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের নিউইয়র্ক সিটি এবং অন্যান্য শহরে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি অভিবাসী থাকে । যুক্তরাষ্ট্রে যত বাংলাদেশি অভিবাসী রয়েছেন, তাদের প্রায় ৭০ ভাগের বসবাস এই অঙ্গরাজ্যটিতে।এর আগে মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি বার্তা পোস্ট করেন মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম। সেখানে তিনি বলেন, আজ সকাল থেকে আমরা নিউইয়র্ক সিটিতে নামছি। এ শহরের প্রতিটি সড়কের ময়লার থলিগুলোকে আমরা উঠিয়ে নেব; কারণ আমাদের প্রেসিডেন্ট প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের জন্য দেশের প্রতিটি সড়ক নিরাপদ করা হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নিউইয়র্ক পুলিশের স্পেশাল অপারেশন ইউনিট, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশন (এইচএসআই), ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই), ইউএস সিক্রেট সার্ভিস, ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিএসএ) এবং ইউএস মার্শালের কর্মকর্তা ও সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত এক যৌথ বাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করছে।।