এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৫ জানুয়ারী : মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে কোমড় দুলিয়ে অমিতাভ বচ্চনের বিখ্যাত “ডন” ছবির “আরে দিবানো… মুঝে পহেচানো…ম্যায় হুঁ ডন” গান গাইছেন একজন পুলিশ কর্মী । তার পরনে রয়েছে খাঁকি পোশাক । পুলিশ কর্মীকে ঘিরে রয়েছে আরও কিছু লোকজন । তারা গানের তালে উদ্দাম নাচছে । এমনই একটা ভিডিও গতকাল এক্স-এ শেয়ার করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । ভিডিও-এর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে,’বারাসাত থানার বাদু ফাঁড়ির ওসি মানষ চক্রবর্তী বারাসাত-২ নম্বর ব্লকের টিএমসিপি-র সভাপতি আসাদুল ইসলাম আয়োজিত পিকনিকে উর্দি পরে ফুর্তিতে ব্যস্ত ।’
প্রতিক্রিয়ায় শুভেন্দু লিখেছেন,’পুলিশ তোলামূল নেতাদের সাথে আমোদ প্রমোদে ব্যস্ত থাকলে প্রকাশ্যে সর্বসমক্ষে শূন্যে গুলি চালিয়ে ভলিবল টুর্নামেন্টের সূচনা কেনো, খুন ডাকাতি শুট-আউট ইত্যাদি সবই হবে এবং হতেই থাকবে! সম্প্রতি মালদহের মানিকচকের নুরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে একটি ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিল স্থানীয় ‘টিপটপ’ ক্লাব। সেখানে লাইনে দাঁড়িয়ে পর পর বন্দুক উঁচিয়ে শূন্যে গুলি ছোঁড়েন বেশ কয়েকজন যুবক। উদ্দেশ্য গুলি চালিয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা !
এর থেকেই প্রমাণিত বন্দুক এবং আগ্নেয়াস্ত্র কতটা সহজলভ্য আমাদের রাজ্যে। হবে নাই বা কেনো, শাসক দলের নেতা কর্মী ও পুলিশ তো একেবারে দুধে জলে মিশে এক হয়ে গেছে।’
এরপর তিনি লিখেছেন,’এই যেমন গতকাল বারাসাত থানা এলাকার বাদু ফাঁড়ির ওসি মানষ চক্রবর্তী, বারাসাত ২ নং ব্লক এর টিএমসিপি-র সভাপতি আসাদুল ইসলাম আয়োজিত পিকনিকে ডিউটির সময়ে ‘উর্দি পরে ফুর্তি’র আমেজে একেবারে মগ্ন হয়ে পড়েছেন। তাই বোমা বন্দুক গুলি এসবের আদান প্রদান তো চলতে থাকবে।’ যদিও ভিডিও-এর সত্যতা যাচাই করেনি এইদিন ।
শুভেন্দু অধিকারীর এই পোস্টে বিভিন্নজন বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন । প্রনব রায় নামে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন,’টিএমছিঃ এন্ড কোং” পুরোপুরি একটি চটিচাঁটা ক্যাওড়াদের (এখানে কোনও জাতি বোজাচ্ছে না) দল। কোন ভদ্রলোক এই দলে থাকতে পারে না। ভিডিও টি ভাল করে দেখুন, এরা কোনও ভদ্রঘরের সন্তান বলে বোধ হচ্ছে কি?’ গৌরব পাল লিখেছেন,’ফাটিয়ে গেয়েছেন, যাই বলুন না কেন শুভেন্দু দা৷’ সুভাষ মালাস লিখেছেন,’কামাই বেশি আসছে তাই আনন্দ একটু বেড়ে গেছে।’
অবশ্য কেউ কেউ উলটে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেছেন । মহঃ নাসিম আলম গদা হাতে এক পুলিশ আধিকারিকের ধর্মীয় পদযাত্রায় অংশগ্রহণের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন,’যে রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিন সরকার আছে, সেখানে রাজ্য পুলিশ কী করছে? দয়া করে সে বিষয়েও একটি বিবৃতি দিন। এই ছবিটি উত্তরপ্রদেশের, মানুষ খাকি পোশাক পরে এবং হাতে ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কিন্তু তারা তাকে জ্ঞান দিতে ভুলে যাচ্ছে, আমি জানি না কেন?’