দুখু মিঞা, তুমি তো সাহিত্যিক, তুমি কবি, তুমি সঙ্গীতজ্ঞ, তুমি সাংবাদিক, তুমি সৈনিক।
তুমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা এক ”ধূমকেতু”
”অগ্নিবীণা”-কে হস্তে ধারণ করা এক বিদ্রোহী।
সর্বশক্তিমান বৃটিশ রাজের বিরুদ্ধে তুমিই
প্রথম বাজিয়েছিলে ”বিষের বাঁশী”।
তোমার ”ধূমকেতু” যখন অত্যাচারিত সমাজের বুকে আছড়ে পড়ল
তখন অত্যাচারিত শাসক তোমায় করল
কারাবন্দী !
নিষিদ্ধ করল তোমার সৃষ্টিকে !
মন ”ভাঙ্গার গান” উচ্চ কন্ঠে তখনও
গেয়েছিলে ।
তোমার গুণের কদর করে বিশ্ব কবি ”বসন্ত”-কে
উৎসর্গ করলেন তোমায় !
মনে পড়ে তোমার দুখু মিঞা ?
সেই সব দিনের কথা ?
তোমার ”গুলবাগিচায়” এখনও ”বুলবুল”
শিষ দিয়ে তোমাকে তার মনের কথা জানায় ?
তোমার ”দোলনচাঁপা” কি ”ফনিমনশা”-র
কাঁটায় ক্ষত বিক্ষত!
না কি ”পূবালী হাওয়ায়” এখনও মাথা নেড়ে
”সাম্যবাদের” গান শোনায় ?
তুমি তো সেই আমাদের দুখু মিঞা,
যে ”প্রলয় শিখার” আগুনে কারার লৌহ
কপাটকে উত্তপ্ত করে ভেঙ্গে ফেলেছো ?
তোমার সেই “বাঁধন_হারা ” নব যৌবনবতী
”ঝিলিমিলি”, সে কি তোমার কাছে শুধুই আলেয়া?
না কি ”কুহেলিকা“?
তোমার বাগানের ”শিউলি মালা” দিয়ে
”পুতুলের বিয়ে”, তুমি নিশ্চয়ই বিস্মৃত হওনি আজও ?
”ঝিঙে ফুল”, ”রাঙা জবা” এদের লাল হলুদের
সংমিশ্রণে এখনও কি তোমার মনে হিল্লোল তোলে ?
বয়স নামে এক “ঝড়” আমাদের “সর্বহারা”
করে দিল।
” মৃত্যুক্ষুধা” কেই তুমি আপন করে নিলে দুখু মিঞা !
তোমার ”দুর্দিনের যাত্রী” আমরা “সর্বহারা” রা
ছিলাম , আছি , থাকবো ।
কিন্তু তোমার ”ব্যাথার দান” আমরা কেউ কি
নিতে পেরেছি ?
সমাপ্ত।