এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেহেরান,০১ অক্টোবর : মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে ইসরায়েলে তেল ও খাদ্য রপ্তানি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি (Ayatollah Ali Khamenei) । ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, খামেনি বলেছেন যে গাজায় বোমা হামলা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে… ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর কাছে তেল ও খাদ্য রপ্তানির পথ বন্ধ করা উচিত ।
ইজরায়েল তেহরান-সমর্থিত হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যারা গাজাকে শাসন করে, গত ৭ অক্টোবরের একটি নৃশংস হামলার প্রতিশোধ হিসেবে যা ১,৪০০ মানুষকে বর্বরোচিত ভাবে হত্যা করা হয় এবং দুই শতাধিক মানুষকে অপহরণ করা হয় । এরপর থেকে ইসরায়েল গাজায় নজিরবিহীন বোমাবর্ষণ শুরু করেছে এবং ছিটমহলে অবরোধ করে রেখেছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, আট হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে ।
ইরানের যাজক শাসকরা ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়েছে যদি তারা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ না করে তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে তেহরান-সমর্থিত প্রক্সিরা(সন্ত্রাসী সংঘঠনগুলি) একসাথে ইসরায়েলের উপর আক্রমণ চালাবে ।
প্রসঙ্গত,ফিলিস্তিনি ইস্যু হল ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের একটি রাজনৈতিক স্তম্ভ এবং একটি উপায় যার মাধ্যমে এর শিয়া মুসলিম ধর্মতন্ত্র ইরানকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা হিসাবে গড়ে তুলেছে ।ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আক্রমণে জড়িত।
“ইস্রায়েলের মৃত্যু” এবং “আমেরিকা মৃত্যু হোক” স্লোগান দিয়ে খামেনি বলেন,’ইসলামিক বিশ্বের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে গাজার গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে, নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জাতির বিরুদ্ধে যারা দাঁড়িয়েছিল তারা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং ব্রিটেন ।’
ইসরায়েল, যাকে তেহরান স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে, দীর্ঘদিন ধরে ইরানের ধর্মগুরু শাসকদের বিরুদ্ধে হামাসকে অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে সহিংসতার জন্য অভিযুক্ত করেছে। তেহরান বলেছে যে তারা গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠীকে নৈতিক ও আর্থিক সহায়তা দেয় । খামেনি বলেন, ‘পশ্চিমাদের নির্লজ্জ কাজগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা ।’
হিজাবকে কেন্দ্র করে নিজের দেশের পাঁচ শতাধিক তরুন তরুনীকে নির্বিচারে হত্যা এবং কয়েক হাজার আন্দোলনকারীকে কারাগারে পাঠিয়ে অবর্ননীয় অত্যাচারের মুখে ঠেলে দেওয়া ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ফিলিস্থিনিদের ন্যায় বিচারের জন্য আওয়াজ তোলাকে অনেকে ‘ভন্ডামি’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন ।।