সূচনা গাঙ্গুলি,দূর্গাপুর(পশ্চিম বর্ধমান),২৬ জুন :
যেকোনো পত্রিকা প্রকাশ অনুষ্ঠান মানেই সঙ্গীত পরিবেশন, স্বরচিত কবিতা পাঠ, মেমেন্টো গ্রহণ ইত্যাদি। নিজের ভূমিকা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টিফিনের প্যাকেট নিয়ে বাড়ি ফেরার পথ ধরা। গতানুগতিকতার পথ ছেড়ে গত শনিবার প্রায় ষাট জন কবি-সাহিত্যিক ও শিল্পীর উপস্থিতিতে ভিন্ন স্বাদের অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দুর্গাপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল অন্য ধারার ত্রৈমাসিক ‘শতদল’ সাহিত্য পত্রিকা।
সমাজের বিভিন্ন স্তরের গুণীজন সমৃদ্ধ অনুষ্ঠানটির সভাপতির পদ অলংকৃত করেন সাহিত্যিক কালীপ্রসাদ দত্ত। উপস্থিত ছিলেন ডঃ বাসুদেব হাজরা, ডঃ সন্তোষ বিশ্বাস, মোহিত গাঙ্গুলী, শ্যামসুন্দর গোস্বামী, ডাঃ নির্মলেন্দু দে, ইন্দ্রনাথ মুখার্জ্জী, অন্তরা সিংহরায়, কার্তিক কালিন্দী, তরুণ সাহা, শিবদাস রুদ্র, শিশু শিল্পী প্রাঞ্জল গোস্বামী প্রমুখ।
ড: বাসুদেব হাজরা তার বক্তব্যে সাহিত্য, শিক্ষা সহ সমাজের নানান দিক তুলে ধরেন। ড: সন্তোষ বিশ্বাস তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সাহিত্যের খুঁটিনাটি দিকগুলি সম্পর্কে আলোকপাত করেন। দুর্গাপুরের উজ্জ্বল নক্ষত্র মোহিত গাঙ্গুলী সাহিত্য সংক্রান্ত মূল্যবান কিছু তথ্য সবার সামনে তুলে ধরেন। কবিতা পাঠ ও সংস্কৃত শ্লোকের মধ্যে দিয়ে শ্যামসুন্দর গোস্বামী সাহিত্যের বিভিন্ন দিকগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করেন ।
তবে তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে উপস্থিত শ্রোতাদের মন জয় করে নেন সাহিত্যপ্রেমী ডা: নির্মলেন্দু দে। চিকিৎসাবিদ্যা সংক্রান্ত আলোচনা,সঙ্গীত প্রভৃতি বিষয়ে তিনি সরস আলোচনা করেন। বেদের স্তোত্রকে নিপুণতার সঙ্গে পরিবেশন করেন ও মঞ্চেই শরীরকে ভালো রাখার কিছু নিয়ম দর্শকদের শেখানোর চেষ্টা করেন। এছাড়া কার্তিক কালিন্দী মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতায় সবুজায়নের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন ।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট কবি তথা সঙ্গীত ও বাচিক শিল্পী অন্তরা সিংহরায় আবার নিজের দক্ষতার পরিচয় দেন। ‘আন্তরিক’ সাহিত্য পত্রিকার পক্ষ তিনি ‘শতদল’ পত্রিকার সম্পাদিকা শিপ্রা ব্যানার্জ্জীর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন । সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শিল্পী চন্দ্রা পাঁজা। তার পরিচালনার গুণে অনুষ্ঠানটি অন্য উচ্চতায় পৌঁছে যায়।
উপস্থিত গুণীজনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পত্রিকার সম্পাদিকা শিপ্রা ব্যানার্জ্জী বললেন, ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘শতদল’-এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত করলাম। আশাকরি সবার সহযোগিতায় শতদল একদিন সহস্রদল হয়ে ফুটবে। প্রবীণদের সঙ্গে সঙ্গে নবীন কবি-সাহিত্যিকদের সৃষ্টি পত্রিকাটিকে সাহিত্য চর্চার অন্যতম পীঠস্থান হিসাবে গড়ে তুলবে ।’।