এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলম্বো,২২ জুন : প্রায় পাঁচটি বেসবলের সমান ওজন বিশিষ্ট কিডনি স্টোন বের হল শ্রীলঙ্কার একজন ব্যক্তির শরীর থেকে । পয়লা জুন অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক বাষট্টি বছর বয়সী ক্যানিস্টাস কুংহে (Canistus Coonghe) নামে ওই ব্যক্তির কিডনিতে শুধু সবচেয়ে বড় পাথরই নয়, এযাবৎ সবচেয়ে ভারীও পাথর বের করেছেন ইউরোলজিস্টদের একটি দল । পাথরটির ওজন ১.৭৬ পাউন্ড । প্রায় পাঁচটি বেসবলের সমান ওজন – এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা বিশ্বের বৃহত্তম কিডনি পাথর। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে যে ওই কিডনির পাথরটি কুংহে (Coonghe) এর প্রকৃত কিডনির চেয়ে বড়। দৈর্ঘ্য অনুসারে, পাথরটির আয়তন ৫.২৬ ইঞ্চি বাই ৪.১৫ ইঞ্চি ।
এর আগে ২০০৪ সালে বিলাস ঘুগে নামে একজন ভারতীয়ের শরীর থেকে ৫.১১ ইঞ্চি কিডনি পাথর বের হয়েছিল । কিন্তু ২০০৮ সালে সেই রেকর্ড ভেঙে দেয় পাকিস্তানের ওয়াজির মহম্মদ নামে এক ব্যক্তি । তার শরীর থেকে বের হয় ১.৩৬ পাউন্ড ওজনের একটি কিডনি পাথর । এসবকে ছাপিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিল শ্রীলঙ্কার ক্যানিস্টাস কুংহে ।
কিডনি স্টোন রেনাল ক্যালকুলি, নেফ্রোলিথিয়াসিস বা ইউরোলিথিয়াসিস নামেও পরিচিত । কিডনি স্টোন হল খনিজ এবং লবণ দিয়ে তৈরি শক্ত স্ফটিক যা কিডনির ভিতরে তৈরি হয় । খাদ্যাভ্যাস, শরীরের অতিরিক্ত ওজন, কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসার ত্রুটি বা ওষুধের প্রভাব এবং পর্যাপ্ত জল পান না করা কিডনিতে পাথর হওয়ার কারন বলে মনে করা হয় । অসুতা আশদোদ( Assuta Ashdod) ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে পরিচালিত ২০২২ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে,৭০ বছরের বেশি বয়স্কদের তুলনায় ৩১ থেকে ৫০ বছর বয়সী তরুণদের জন্য কিডনির পাথর উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি লক্ষ্য করা যায় ।যদিও এটি সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে যে বয়স্ক লোকেদের বড় পাথরের সমস্যায় বেশি ভোগে ।।