তপ্ত দুপুরে যখন ক্লান্ত, ঘামে ভেজা শরীর নিয়ে
একটু পাখার তলায় বসি
তোমার কথা মনে পড়ে।
তুমি বলছিলে ফিরে আসবে আবার নতুন করে।
তালদিঘির পাড়ে এসে বসে গল্প করবে।
দিঘির জলে পদ্মগুলো যখন আপন মনে করবে খেলা
তুমি তখন আমার চুলে বিলি কেটে দেবে।
তুমি আরো বলেছিলে বাতাস উত্তপ্ত হোক ক্ষতি নেই।
তোমার ঘামে ভেজা শরীরে আমি পাখার বাতাস দেবো।
দিঘি থেকে জল তুলে তোমাকে ভিজিয়ে দেবো।
তুমি কিন্তু তোমার দেওয়া কথা রাখতে পারলে না।
আমি আজও তোমার আসার অপেক্ষায় দিন গুনি।
আজও আমি তোমার গাওয়া গানের কলি মনে করি।
“নিশিরাত বাঁকা চাঁদ আকাশে, চুপিচুপি বাঁশি বাজে বাতাসে বাতাসে”
এই গান তুমি অনন্ত কাল ধরে আমাকে শোনাবে কথা দিয়ে ছিলে।
কথা তুমি রাখলে না।
আমি আর রাত যখন একা থাকি আমার হৃদয় বলে ওঠে।
“প্রেম একবার এসেছিল নীরবে”
তবে কি তোমার নীরবতা আর কোনদিন ভাঙবে না।
তুমি সেই দিন ছাতিম গাছের তলায় কত কথাই না বলেছিলে সব কি ভুলে গেলে তুমি?
তুমি বলেছিলে
আমাকে নিয়ে তুমি ঘর বাঁধবে
সেই ঘর যা স্বর্গের থেকেও সুন্দর হবে।
ছোট্ট পর্ণকুঠির।
তোমায় নিয়ে ঘর বাঁধা আর হলো না
কেন তুমি দিলে আমায় শতেক যাতনা।
তুমি ছিলে আমার হৃদয় সিংহাসনে রাজা
আজ তুমি বহুদূরে চলে গেছো
আমার প্রেমকে দিয়ে গেছো সাজা।
তবু আছো মনে
মন আলাপনে
একান্তে আজও তোমাকেই খুঁজে চলি
আজও তোমার সাজানো কথা মনে মনে বলি।
আমি অনন্তকাল অপেক্ষা করে থাকবো
যদি পাই একবার তোমার দেখা।
তুমি ফিরে এসো প্রেম তুমি ফিরে এসো।
অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ।।