শ্যামসুন্দর ঘোষ,পূর্বস্থলী(পূর্ব বর্ধমান),২৯ এপ্রিল : পর পর দু’দিন দুপুরে হয়ে গেল কালবৈশাখী ঝড় । মুশলধার বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টির কারনে একদিকে যেমন বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে চাষিদের, অন্যদিকে তেমনি মাথায় হাত পড়ে গেছে আমবাগান মালিকদেরও । কালবৈশাখীর ঝড়ে প্রচুর আম গাছ থেকে ঝড়ে পড়ছে । ফলে বাজারে ঢালাও কাঁচা আমের আমদানি থাকায় নামমাত্র মূল্যে আম বিক্রি হচ্ছে । পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর কিছু আম চাষিরা কাঁচা আম বাজারে বিক্রি করতে যাওয়ার পরিবর্তে ফেলে দিচ্ছেন । কারন হিসাবে তারা জানান,পূর্বস্থলীর পারুলিয়ার পাইকারী বাজারে কাঁচা আম ২ থেকে ৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে । ফলে গাড়ি ভাড়া দিয়ে আম বাজারে নিয়ে যেতে গেলে খরচ উঠবে না । তাই বস্তা বস্তা আম তারা ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন ।
এবারে রাজ্যের অনান্য জেলার পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে আমের ব্যাপন ফলন হয়েছে । পূর্বস্থলীর হিমসাগর, গোলাপখাস, ল্যাংড়া, আম্রপলি, মিঠুয়া প্রভৃতি আমের কদর রয়েছে ভিন জেলা ও রাজ্যেও । এবারে লাভের মুখ দেখার আশায় বুক বেঁধেছিলেন আম চাষিরা । কিন্তু তাদের সেই আশায় জল ঢেলে দিচ্ছে কালবৈশাখী৷ ঝড় ।পূর্বস্থলীর আম চাষী সুভাষ হালদার বলেন,’কালবৈশাখীর ঝড় ও শিলাবৃষ্টির কারনে প্রচুর আম ঝড়ে পড়ে গেছে । আমি এবারে ৫-৬ বাগানের চুক্তি নিয়েছি । আশা করেছিলাম ফলন ভালো হওয়ায় লাভের মুখ দেখতে পাবো । কিন্তু কালবৈশাখীর ঝড় আমার সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে । এখন অবশিষ্ট আম পাকার পরে ঠিকমত দাম পাবো কিনা জানি না । ফলে খুব আশঙ্কার মধ্যে আমি আমরা ।’
আম চাষিদের বক্তব্য শুনুন 👇
পারুলিয়ার পাইকারী বাজারে কাঁচা আম বিক্রি করতে যাওয়া আম চাষি মদন বিশ্বাস বলেন,’এবারে আমি অনেক বাগানের চুক্তি নিয়েছি । দু’দিনের কালবৈশাখীর ঝড়ে প্রচুর আম ঝড়ে গেছে । মাত্র দু’টাকা কেজি দরে সেই আম বিক্রি হল । এখন খরচ উঠবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কার মধ্যে আছি ।’ পারুলিয়ার পাইকারী বাজারের আড়তদার তপন চক্রবর্তী বলেন,’ঝড়ের পর বাজারে প্রচুর কাঁচা আমের আমদানি হয়েছে । সে তুলনায় খরিদ্দার নেই । দুই আড়াই টাকা কেজি দরে আম পাইকারি বিক্রি হচ্ছে । ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে চাষিদের ।’।