এইদিন ওয়েবডেস্ক,পাটনা,২০ মার্চ : বিহারের বিঠা থানার অন্তর্গত কানহাউলি গ্রামের অপহৃত কিশোর তুষার পণ্ডিতের(১৩) অর্ধদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ । পেশায় সরকারি স্কুলের শিক্ষক রাজকিশোর পণ্ডিতের ছেলে তুষারকে গত ১৬ মার্চ কোচিং সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ করেছিল দুষ্কৃতীরা ৷ তারপর অপহরণকারী রাজকিশোরবাবুর হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভয়েস মেসেজ পাঠিয়ে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে । ঘটনার দিন রাত্রি ১১ টার দিকে তিনি বিঠা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগে তিনি পুলিশকে জানান এক পরিচিত ব্যক্তিই তাঁর ছেলেকে অপহরণ করেছে । অভিযোগের ভিত্তিতে মুকেশ কুমার নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ বোরিং ক্যানেল রোড থেকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে । ধৃত ব্যক্তি কুমার একই গ্রামের বাসিন্দা এবং সে একটি স্কুল চালায় । যদিও আর্থিক সঙ্কটের কারনে সম্প্রতি তাকে স্কুল বন্ধ করে দিতে হয় ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে,স্কুল চালাতে গিয়ে তীব্র আর্থিক সঙ্কটের পড়ে যায় ধৃত মুকেশ কুমার । আর সে শিক্ষক রাজকিশোর পণ্ডিতের আর্থিক অবস্থা নিয়েও অবগত ছিল । সেই কারনে শিক্ষকের ছেলেকে অপহরণ করে সে মুক্তিপণ আদায়ের ছক কষেছিল । জানা গেছে,ছেলেটিকে অপহরণ করার পর কুমার তাকে হাসপাতাল কমপ্লেক্সের কাছে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে, পরে সে প্রমাণ লোপাটের জন্য কিশোরের লাশ পুড়িয়ে দেয়, তুষারকে হত্যা করার পরেই অভিযুক্ত তার বাবার কাছে হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস মেসেজ পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে ।।
পাটনার এসএসপি রাজীব মিশ্র বলেছেন যে অভিযুক্ত স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ধার করেছিল । তার ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং সে ধার করা টাকা ফেরত দিতে পারছিল না । তাই সে তুষারকে অপহরণের পরিকল্পনা করেছিল ।’।